বিএনপি অর্থপাচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত আসামি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিঙ্গাপুর, আমেরিকায় কে অর্থপাচার করেছে? তারেক-কোকোর পাচার করা একটি অংশ সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।


বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নাকি অর্থপাচার করে। অর্থপাচারের জন্য আপনারা প্রতিষ্ঠিত আসামি। অর্থপাচার সিঙ্গাপুর, আমেরিকায় কে করেছে? তারেক-কোকোর পাচার করা একটি অংশ সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিজেরা যেই অপরাধের অপরাধী তা ছাত্রলীগ, যুবলীগের ওপর চাপায়।


বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের ৭১তম সদস্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্টে যদি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকতো তাহলে কিলারদের নিরাপদেকে পাঠালো, তাদের চাকরি কারা দিয়েছে? খুনিদের বাঁচাতে পঞ্চম সংশোধনী কেনো এনেছিলেন জিয়া?


ওবায়দুল কাদের বলেন, ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য মারা গেছেন। তিনি কী ছিল, সেটা বড় কথা না। তিনি তার এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। মোটরসাইকেলে করে সারা এলাকা ঘুরে বেড়াতেন। তার জনপ্রিয়তার জন্য তাকে তিনবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার ভেতরে কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটা তো আমরা জানতাম না। ভারতীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্য আনল সেটা আপনারা কেন উদ্ধৃতি দিচ্ছেন? আজিম যদি অপরাধী হন তাহলে সাংবাদিকরা কেনো তাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করল না।


এমপি আনার কোনো অপকর্মে জড়িত থাকলে তা তদন্তে বের হয়ে আসবে। ভারতের গণমাধ্যমে এসেছে চোরাচালানের কথা। তার মৃত্যুর আগে দেশের কোনো সাংবাদিক কি তাকে নিয়ে এসব রিপোর্ট করেছিলেন, প্রশ্ন করেন কাদের।


দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে তিনি বলেন, আমার সময়েই প্রথম ফুটবলে সাব গেমসে গোল্ড পেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালকে ১-০ তে পরাজিত করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্রিকেটেও আমি যখন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। দুইটা বিজয় এসেছিল, স্কটল্যান্ডের সঙ্গে, আরেকটি পাকিস্তানের সঙ্গে। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পেয়েছিল। সেসময় প্রতিবন্ধীরাও ২০টি পদক জিতেছিল। মালদ্বীপের কাছে যখন বাংলাদেশ হারে তখন খুব লজ্জা করে। এর মধ্যে আমাদের মেয়েরা যে সাফল্য নিয়ে এসেছে সেটা আমাদের জন্য গর্বের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। মেয়েরা ভালো করলে তার মধ্যে যে উচ্ছ্বাস সেটা আমরা খেয়াল করি।


শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সি ইজ সো ট্যালেন্টেড, সি ইজ সো ব্রিলিয়ান্ট। তার শাসনামলে যদি আমরা ক্রীড়াঙ্গনে সফল হতে না পারি তাহলে কীভাবে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকলের চেয়ে ডায়নামিক।


যানজট নিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, এয়ারপোর্ট গিয়ে অনেকে ফ্লাইট মিস করতো যানজটের কারণে। এখন ফার্মগেট থেকে এয়ারপোর্ট ১০ মিনিট সময় লাগে। সময়মতো এখন এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যায়। আমার মাথার ওপর প্রধানমন্ত্রীর হাত এবং ছায়া না থাকলে কখনোই আমি এসব করতে পারতাম না।


মাশরাফীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মাশরাফী খুব যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে এসেছেন। সুদক্ষ ও লম্বা চড়া তিনি। মাশরাফীকে এই কমিটির সদস্য বানানোর মূল লক্ষ্য ছিল ক্রীড়াঙ্গনকে উৎসাহ দেয়া। বাংলাদেশের ক্রীড়া অঙ্গনের জন্য আমার যে কমিটমেন্ট সেটা এখনো আছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024