কোটি টাকা চুক্তি করলেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ফলাফল পালটে ফেলা যাবে! এমন মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্রিয় একটি প্রতারক চক্র।

পদভেদে গুণতে হবে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ এবং নির্বাচনের আগে অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা, মুঠোফোনে এমন প্রস্তাব পেয়েছেন উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এক প্রার্থী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ প্রার্থী জানান, ” ইন্টারনেটের একটি নাম্বার থেকে হঠাৎ একটা কল আসে এবং প্রস্তাব দেওয়া হয় তিনি আমাকে টাকার বিনিময়ে ভোটে জেতাবেন। ইভিএমে কখনোই জালিয়াতি সম্ভব নয়, আমি বুঝতে পেরেছি এটা একটা প্রতারক চক্র।”

২৯ মে (বুধবার) সকাল ৮ টা থেকে ৪ টা ইভিএমে প্রথমবারের মতো ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিবেন উখিয়ার প্রায় দেড় লক্ষ ভোটার।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানা গেছে, ইভিএমে কারসাজির কোনো সুযোগ নেই এবং প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে প্রার্থীদের।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ” সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, কোন ভাবেই ইভিএমে কারসাজি করা সম্ভব না। ”

উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর নির্বাচনের পরিবেশ বিশৃঙ্খলামুক্ত রাখতে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন, ” প্রশাসনের স্ট্রাইকিং ফোর্স ৬২ কেন্দ্রে ভোটদানের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে মাঠে থাকবে। কোন বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা।”

চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024