মধুমাসের ঘনঘটায় সারা দেশের ন্যায়  যশোরের অভয়নগরে গাছে গাছে ম-ম ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে গ্রীষ্মের মিষ্টি গুণ সম্পন্ন জাতীয় ফল কাঁঠাল। এ ফল খেতে পছন্দ না করে এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।  এমনকি গ্রামগঞ্জের হাটবাজারেও  কাঁঠাল বেচাকেনার  রীতিমতো ধুম পড়েছে।

পাকা কাঁঠাল খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা কাঁঠাল ও বিচি মানুষের কাছে তরকারি হিসেবেও বেশ সমাদৃত। কাঁঠালের বিচি প্রোটিন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। শুঁটকির মিশ্রণে এর ভর্তা সবার কাছে অতি জনপ্রিয় এবং মুখরোচক। কাঁচা-পাকা কাঁঠালের উচ্ছিষ্টাংশ গবাদিপশুরও একটি জনপ্রিয় খাবার। তাই দেখা যায়, কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না’।

এলাকায় দেখা যায়, প্রকৃতি যেন পুরো উপজেলাকে অপূর্ব সাজে সাজিয়েছেন কাঁঠালে কাঁঠালে। প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত ঝুলছে কাঁঠাল। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত প্রতিটি বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার ধার, পুকুর পাড়, বিভিন্ন অফিস চত্বর, বাড়ির আঙিনার গাছে গাছে ধরেছে অসংখ্য কাঁঠাল। জ্যৈষ্ঠ মাস পেরিয়ে আষাঢ় মাস এলেই মনকাড় লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখর হয়ে উঠবে প্রতিটি আঙিনা ও হাট -বাজার। ইতিমধ্যে বাজারে দু-একটি পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে।

বিশেষ করে উপজেলার দেওয়াপাড়া গ্রামের মাটি কাঁঠালের জন্য বেশ উপযোগী প্রায় গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করছে অনেকেরই,  এগুলো পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে, মৌসুমি ফলের উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। যাদের গাছ নেই তারাও নিয়ে যায় এভাবেই বলছেন এলাকাবাসী।

 প্রতিটি গাছে নজরকাড়া কাঁঠাল এসেছে।‘কাঁঠাল গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় ফল। এটি অত্যধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাতীয় ফল।’তাই এর চাহিদাও রয়েছে অধিকাংশ মানুষের নিকট।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024