কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আসন্ন ঈদুল আজহা  কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে   জমে উঠে উপজেলার বড়ঘোপ ও ধুরুং বাজারের পশুর হাট। কোরবানির  পশু কিনতে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্য চলছে ধর কষাকষি।উপজেলার দুটি পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সোমবার (১১ জুন) বড়ঘোপ বাজার পশুহাটে গরু বিক্রি করতে আসা রহিম  বলেন, গত বছরের তুলনায় এখন গরু ও ছাগলের দাম তুলনামূলক বেশি। আজকে হাটে একটি আমার পালিত গরু এনেছিলাম।  গরুর আশানুরূপ দাম না হওয়ায় বিক্রি করিনি। আগামী হাটে বিক্রি করবো। এমনই আরোও এক গরু পালনকারী   বলেন, আমার একটি গরু আছে ৬/৭মণ হবে প্রায়। এখনও বিক্রি করিনি। আশা করছি, দুই লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি হবে। এর আগে একটি হাটে নিয়েছি। গরুটিকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। ওষুধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করলে ক্রেতারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দামও কম হয়।


এদিকে গরুর পাশাপাশি ছাগলেরও চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। এ উপজেলার লেমশীখালী  গ্রামের এক ছাগল পালনকারী জানান, ক্রেতাদের ছাগলের মোটামুটি চাহিদা আছে। আমি দুইটা ছাগল নিয়ে আসছি। ২২ হাজার টাকা হলে দিয়ে দিবো।

বাজারে পশু কিনতে আসা আরোও কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রতিবছর কুরবান উপলক্ষে গরু কিনে থাকি। তবে এ বছর গরুর দামটা একটু বেশি। অনেকেই কোরবানি করার জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, খাবারের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি। এলাকায় বিক্রি উপযুক্ত কোরবানির গরু গত বছরের তুলনায় কম। বেচাকেনা গত বছরের তুলনায় কম।এবিষয়ে উপজেলার ধুরুং বাজার ও বড়ঘোপ বাজারের  ইজারাদারের সাথে কথা হলে তারা বলেন ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধাত্বে প্রতিদিন কুরবানের আগ পর্যন্ত বেচাকেনা করা যাবে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024