রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাসও। এতে গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে অফিস ছুটির সময়ে বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়েছে অফিস ফেরত যাত্রীরা। ভোগান্তি বেড়েছে ঈদযাত্রায়ও। ঝুম বৃষ্টিতে বাস কাউন্টারে সময় মতো পৌঁছাতে পারছেন না ঘরমুখো মানুষ।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল যথারীতি সূর্য উদয় হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে চলে যায়। মাঝে মধ্যে উঁকি দিতে দেখা যায়। হালকা বাতাস থাকলেও ছিল ভ্যাপসা গরম। বিকেল থেকে রাজধানীর আকাশ অন্ধকার হতে থাকে। অবশেষে পৌনে ৫টার দিকে বিভিন্ন স্থানে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। ক্ষণে ক্ষণে মেঘের গর্জনে কেঁপে উঠছে আকাশ।


বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও তাৎক্ষণিক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পথচারী ও ফুটপাতের দোকানিদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।


তারা জানান, বিকেলে হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায় সড়ক। কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আগাম প্রস্তুতি না থাকায় অনেকে ভিজে যান। আবার কাউকে কাউকে আশপাশের ছাউনি ও দোকানের ভেতর প্রবেশ করতে দেখা যায়।


এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে দেশের ২টি বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. তারিফুল নেওয়াজ কবির সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


এতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ১৩ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি। ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি/ ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।


এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


এদিকে, শেষ কর্মদিবসের পর বিকেলে গাবতলী বাস টার্মিনালে ভিড় করতে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের। রাজধানীর তীব্র যানজটের ভোগান্তি শেষ হতে না হতেই হঠাৎ নামলো ঝুম বৃষ্টি। এতে স্বস্তির বদলে বিপাকে পড়েছেন ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024