আমি নিজেকে একজন পেশাদার সাংবাদিক মনে করি। কিন্তু যে জেলায় কাজ করি বা বসবাস করি এখানে সংঘর্ষ, হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, মামলা, গ্রেফতার বাদে লেখালেখির বিষয়বস্তু খুবই কম। যার সবটা মিলিয়ে রাজনীতি জড়িত। এজন্য লেখুনি দেখে অনেকে প্রশ্ন করে বসেন যে, আপনি সাংবাদিক নাকি রাজনীতিবীদ? 

আমি আসলে রাজনীতি খুবই কম বুঝি। লেখালেখির জন্য যতটুকু দরকার তার বেশি নয়।

এজন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষন বা পক্ষপাতিত্বমূলক নিউজ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। রাজনীতি বর্তমানে নোংড়ামিতে ভরপুর। অনেক নেতা কর্মীকে দেখেছি রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ না পেয়ে সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশ করতে। অনেকে আবার সাংবাদিক নেতা হয়েছেন। কোন পেশাদার সাংবাদিক কিন্তু নিজ পেশা ছেড়ে রাজনৈতিক নেতা হতে যায়না।


সব জায়গাতেই রাজনৈতিক গ্রুপিং সব সময় বিদ্যমান। হোক সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ। একজনকে নিয়ে নিউজ করলে অপরজন সাংবাদিকদকেই প্রতিপক্ষ দলের সদস্য মনে করে বসেন।

তাই কারো না কারো কাছে অছন্দের হতেই হয়। এসব মেনে নিয়ে এবং মানিয়ে নিয়েই চলতে হয় আমাদের।


দিনশেষে একটি কথায় বলবো প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিক কখনো কারো ব্যক্তিগত হয়না। এরা সবার সাথে মিশবে সবার সংবাদ কমবেশি প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। এতে ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই।


যেখানে বাস আবার সেখানেই কাজ। তাই চলার পথে অনেকের সাথেই ব্যক্তি সম্পর্ক ধরে রাখতে হয়।

একজন রাজনৈতিক কর্মী বা নেতা একটি দলের অধিন হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের নিজস্ব কোন দল নেই বা কারো অধিনে নয়। 


পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, সাংবাদিকরা আসলে কারো ঘরের বউ না যে অন্য কারো সাথে মিশতে পারবে না, বা কেউ ডাকলে যেতে পারবে না। 

যে সাংবাদিক সে সবার কাছেই যাবে, তথ্য নেবে, সংবাদ প্রচার করবে। এতে হিংসা বা অভিমান করা বোকামি। 


সাংবাদিকদের সবাই ব্যবহার করতে চায়, যে ব্যবহার করতে পারেনা সে শত্রু ভাবে। 


মনে রাখবেন আমি পেশাদার সাংবাদিক, কারো দলীয় কর্মী বা সদস্য না। তাই আমার উপর রাগ, ক্ষোভ বা অভিমান করা নিতান্তই বোকামি। কাউকে কষ্ট দিতে নয়, আমার অবস্থান নিশ্চিত করতে কিছু কথা লিখলাম। ত্রুটি মার্জনীয়।



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024