মামুনুর রশীদ পান্না, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর বিলের ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


নিহত এনজিও কর্মী নাম রাজু আহমেদ (৩৫) ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চৌরাঙ্গী গ্রামের সাগর আলীর ছেলে। তিনি এসকেএস ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওতে জয়পুরহাট সদরের জামালগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন।


পুলিশ ও পরিবারসুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১২ জুন) দুপুর থেকে নিহত এনজিও কর্মী রাজু আহমেদের সাথে তার পরিবার একধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হন। তার ব্যবহৃত নম্বরে বারবার ফোন করলেও রিসিভ হচ্ছিল না। পরদিন বিকেলে উপজেলার তুলসীগঙ্গা নদীর বিলেরঘাট এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে তুলসীগঙ্গা নদীর বাঁধে মালিক বিহীন একটি মোটরসাইকেল দেখতে পেলে কয়েকজন যুবক জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। 


খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মালিক বিহীন একটি মোটরসাইকেল, জুতা ও ব্যাগ উদ্ধার করে থানায় নেয়। 


রাতে এনজিও কর্মী রাজুর পরিবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ও তার পরিবার বিলেরঘাট এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় এনজিও কর্মী রাজুকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাজুর বাবা সাগর আলী ছেলের মোটরসাইকেল উদ্ধার হওয়া এলাকায় গিয়ে ছেলেকে খুঁজতে থাকে। খোজাখুজির একপর্যায়ে বাঁধের অদূরে নদীতে একটি মরদেহ দেখতে পান তিনি। এরপর সেখানে গিয়ে তিনি তার ছেলের মরদেহ সনাক্ত করেন। পরে থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করে।  


খবর পেয়ে জয়পুরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।


ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024