|
Date: 2024-06-13 23:02:35 |
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে হরিপুর উপরপাড়া গ্রামের একই পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই-ভাই।
বয়স যখন ৮থেকে ১১বছর পর থেকেই হাত-পা ছোট, চিকন ও শরীর বাঁকা হয়ে যায়।নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে হরিপুর উপ
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জন্মের পর সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। ২৪ বছরের ইউসুফ। ১৮ বছরের ইসমাইল বয়স বাড়লেও বাড়েনি তাদের আর উচ্চতা। আস্তে আস্তে তাদের হাত-পা ছোট, চিকন ও বাঁকা হয়ে পড়ে, তারা হয়ে যান শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। পরে অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখালেও কোন লাভ হয়নি। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দেখাতে পারেনি ভালো কোন ডাক্তারও। ছেলের এমন অবস্থা দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন মা। বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারায় তাদের দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করেন তার নানি মোছা. জাইফুল । নিজের সন্তান না হলেও প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের মতোই পরম আদরে দেখাশোনা করছেন তিনি। এইভাবেই সংগ্রাম করে জীবন-জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবারটি।
পরিবারটিকে সহায়তায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান স্থানীয়রা। প্রতিবন্ধী ইউসুফ ব ও ইসমাইল বলেন, আমাদের বয়স ১০ বছর পর্যন্ত আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলাম। বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতাম, আড্ডা দিতাম, স্কুলে যেতাম হাটে-বাজারে যেতাম। অনেক স্মৃতি ছিল। এখন ছোটবেলার কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়, অনেক সময় কান্নাও করি। ভবিষ্যতে আমাদের দেখবে কে? বাইরের কোন মানুষজন আমারা দুই ভাই-চলাফেরা দেখলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না।
তারা আরও বলেন, আমরা দুই ভাই অনেক কষ্ট আর সমস্যার মধ্য দিয়ে বেঁচে আছি। চলাফেরা করা যায় না সারাদিন শুয়ে থাকি। এমনকি শুয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। হামকুর পেরে কোনরকম ভাবে চলাফেরা করতে পারিনা, পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ভালো না হওয়ায় কোন অসুখ হলে ঠিকমতো ওষুধও কিনে খেতে পারি না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে বা কোন বিত্তবান এবং প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়ালে একটু উপকার হতো।
তাদের প্রতিবন্ধী ইউসুফ বলেন, ১০ বছরের পর থেকে আমি আর স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারি না। শুয়ে সব চলাফেরা করতে হয়। আমার ভাইদের চেয়ে আমার কষ্ট আরও বেশি। বয়স যত বাড়ছে কষ্ট ততই বড়ছে। সব সময় অসুখ-বিসুখ লেগে থাকে। মোছা জাইফুল বলেন, আমার মেয়ে জামাই ঢাকাতে গার্মেন্টস চাকুরী করেন।
তাদের সব কাজ আমাকেই করে দিতে হয়। নিজের সন্তানের মতই তাদেরকে সেবাযত্ন করে যাচ্ছি। আমার এই দুই নাতি পাশে কেউ দাঁড়ালে তাদের জন্য খুব ভালো হতো। কেউ যদি চিকিৎসা জন্য টাকা পাঠান বিকাশ নাম্বার :০১৩১৫৩৫৩৮০৬যদি কেউ হুয়িল চেয়ার দিতেন তাহলে বসে একটু বাইরে যেতে পারতাম মনটা খুব ভাল হতো।
© Deshchitro 2024