|
Date: 2024-06-18 06:43:46 |
দেশে আর্থিক খাত এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত ও নিরাপত্তাহীন উল্লেখ করে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নৈতিকতাহীন, অপচয়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাংক খাত এখন খাদের কিনারে। ভয়াবহ আর্থিক খাতের দুরবস্থা থেকে মানুষের চোখ সরানোর জন্য সরকার এখন নানা তামাশা ও চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছে।
১৮ জুন, মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ২২ কিমি সংর্কীণ রুট যার উত্তরে নেপাল এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ অর্থাৎ শিলিগুড়ি করিডোর যেটিকে চিকেন নেক বলা হয়- যেটিকে বাইপাস করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেলপথ বাকি অংশ ভারতের উত্তরপূর্ব দিকে সংযোগ করা হবে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের সামরিক এবং বেসামরিক পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে রেললাইন নেটওয়ার্ক তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গণহিংসার মনোভাব পোষণ করে তাদের কাছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের চাবি তুলে দেয়া হবে এই স্থাপনার মাধ্যমে। এতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশের ‘ইন্টিলিজেন্স’ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নতজানু সরকার যদি এই রেললাইন নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করে তাতে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ক্রমাগতভাবে মিলিয়ে দেয়া হবে। দখলদার সরকার জোর করে টিকে থাকার জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বেচতে শুরু করেছে। যারা রক্তোন্মাদগ্রস্থ প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে আমাদের লোক হত্যা করছে। তাদেরকে সব উজাড় করে দেয়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন যেখানে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের জীবন যাচ্ছে, যারা বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার ও মানবতার তোয়াক্কা করে না তারাই যদি বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে সামরিক ও বেসামরিক পরিবহন উত্তরপূর্ব ভারতের দিকে ধাবিত করে তাহলে বাংলাদেশের দুর্বল সার্বভৌমত্বের বাকি অংশটাও নিঃশেষ হয়ে যাবে।
রিজভী বলেন, ব্যাপক বেকারত্ব, চরম মূল্যস্ফীতি, জাতীয় রিজার্ভের ভয়াবহ পতন, কঠিন ডলার সংকট, বিপুল পরিমান খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাওয়া, জ্বালানির নিশ্চয়তা ছাড়া একের পর এক ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ, হাজার-হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেশের অর্থনীতির কোমর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ব্যক্তিগত আয় ও জীবনযাত্রার মান দিন দিন প্রকট হচ্ছে। দেশে আর্থিক খাত এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত ও নিরাপত্তাহীন। নৈতিকতাহীন, অপচয়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাংক খাত এখন খাদের কিনারে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ আর্থিক খাতের দুরবস্থা থেকে মানুষের চোখ সরানোর জন্য সরকার এখন নানা তামাশা ও চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছে। এবারের ঈদে মানুষ নিরানন্দে দিন কাটিয়েছে। গরুর হাটে কেনাকাটা ছিল কম। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরু খামারিরা গরু বিক্রি করতে না পেরে চরম দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, কারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই দখলদার সরকার জোর করে টিকে থাকার জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বেচতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে হতভাগ্য শৃগালের সান্ত্বনার মতো পরিস্থিতিতে দিন কাটাতে সবক দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মলেনে উপস্থতি ছলিনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদষ্টো জয়নুল আবেদীন ফারুক, স্বাস্থ্য বষিয়ক সম্পাদক ডা. রফকিুল ইসলাম, সহ সাংগঠনকি সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদল নেতা গয়িাসউদ্দনি মামুন প্রমুখ।
© Deshchitro 2024