কথা বলছিলাম খুলনা মেডিকেল কলেজের এক ডোমের সাথে, " যখন মর্গে কোনো বাচ্চার লাশ আসে তখন তার উপর ছুরি হাতুড়ি চালাতে গেলে নিজের বাচ্চার কথা বারবার মনে পরে! " 

প্রতিদিন পাচিত, অর্ধপাচিত, ট্রেনে কাটা, আগুনে পুড়ে বিভৎস চেহারার, টুকরা টুকরা খন্ড করা বিভিন্ন প্রকার লাশ আসে ওনাদের কাছে এবং এগুলোর সাথেই সময় কাটে ওনাদের। স্বাভাবিকভাবেই ওনাদের সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড সেটআপ অন্যদের চাইতে একেবারেই আলাদা। তবে তারাও যে রক্তমাংসে অন্যান্য মানুষের মতোই ইহা নিরেট সত্য।  এদেশে ফরেনসিক বিভাগে কাজ করা মানুষের অঙ্কটা সামান্য,যে ক'জন কাজ করছেন তারাও প্রোপারলি কাজ করতে পারে কি-না সংশয় আছে। অথচ ফরেনসিক কার্যক্রম বা ফরেনসিক রিপোর্ট যেকোনো তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই আপাতত যে কয়জনই ডোম বা ফরেনসিক বিভাগে কাজ করছেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা সবচেয়ে বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি।

জান্নাতুল ফেরদৌস রীতা

শিক্ষার্থী,উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024