|
Date: 2024-06-26 06:23:47 |
২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭০ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় ২ জন আসামীকে যাবজ্জীবন অর্থাৎ ৩০ বছর করে কারাদণ্ড, একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ রায় প্রদান করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দণ্ডিত আসামীরা হলো-নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদরের ধর্মপুর ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামের মোঃ ফেরদৌস আলমের পুত্র মোঃ শরিফ উল্লাহ (২৫) এবং ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ চর আইচা ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামের আবদুল আজিজ পালোয়ানের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৩১)। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামী মোঃ শরিফ উল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অপর দণ্ডিত আসামী সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান রেজা এবং আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো: শহীদুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
২০২১ সালের ৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামু'র মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে কক্সবাজার অভিমূখী একটি কার্ভাডভ্যান গাড়িকে (নম্বর : চট্ট মেট্টো ট-১১-৬৫৬২) থামিয়ে কর্তব্যরত রামু ৩০ বিজিবি'র সদস্যরা তল্লাশী করে। তল্লাশীকালে কার্ভাডভ্যানের চালক মোঃ শরিফ উল্লাহ ও হেলপার সাদ্দাম হোসেনের স্বীকারোক্তি মতে কার্ভাডভ্যানের কেবিনের মিটারবক্সের ভিতর থেকে বিজিবি সদস্যরা ৭০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ৩০ বিজিবি'র নায়েব সুবেদার মোঃ ফোরকান উদ্দিন বাদী হয়ে কার্ভাডভ্যানের ড্রাইভার মোঃ শরিফ উল্লাহ ও হেলপার সাদ্দাম হোসেনকে আসামী করে রামু থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার রামু থানা মামলা নম্বর : ২২, তারিখ : ০৭/০৮/২০২১ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৪২৬/২০২১ ইংরেজি (রামু) এবং এসটি মামলা নম্বর : ৫৯৭/২০২২ ইংরেজি।
© Deshchitro 2024