ইয়াবাসহ আটকের পর ২০২০ সালে কারাগারে পরিচয় হয় চক্রের তিন সদস্যের। সেখানে বসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র চোরাচালানের পরিকল্পনা। চক্রটিতে যোগ দেয় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের একাধিক সদস্য।


মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ও কলাতলীতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জামিলুল হক।


আটকরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার বাহারছড়া এলাকার কাজি জাফর সাদেক ওরফে রাজু ও পিএমখালী ইউনিয়নের ধাওনখালী এলাকার হুমায় কবির।


র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জামিলুল হক বলেন- তিনজনের পরিচয় হয় কারাগারে। সেখানেই তারা পরিকল্পনা করে ভারত থেকে অস্ত্র আনার। যখন সবাই জামিনে বের হয়। তারপর থেকে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনার ব্যাপারে যোগাযোগ শুরু করে। তারপর তাদের চক্রে যোগ দেয় আরও একাধিক সদস্য। তাদের সহায়তায় অস্ত্র-গুলি গুলো কক্সবাজারে আনতে শুরু করে।


তিনি বলেন- কয়েকটি চালান নিরাপদে পাচারের পর মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের কাছে খবর আসে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আনা অস্ত্র-গুলি কক্সবাজারে প্রবেশ করবে এমন সংবাদে অভিযানে নামে র‌্যাব। প্রথমে সদরের পিএমখালী এলাকা থেকে চক্রের সদস্য হুমায়ন কবিরকে গ্রেফতার করার পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সদস্য রাজুকে কলাতলী থেকে গ্রেফতার করা হয়।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এএসপি জামিল আরও বলেন- জিজ্ঞাসাবাদে তারা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আনা একটি ৩০৩ রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এর আগেও গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024