ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি ও সীতাকুণ্ডের দারোগাহাটের ওজন স্কেলের কারণে ৬ চাকার ট্রাক-কাভার্ডভ্যানে ১৩ টনের বেশি পণ্য আনতে পারছেন না। দেশের আর কোথাও ওজন স্কেল না থাকায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

৩ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার   ) চট্টগ্রাম  চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

   ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে 

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এই ওজন স্কেল ব্যবসায়ীদের কাছে বিষফোঁড়ার মতো। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জিডিপিতে চট্টগ্রামের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানে বন্দরসহ নানা অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। ইস্পাত, সিমেন্ট, রড, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ ভাঙাসহ বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ও কোরবানিগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার ও পাহাড়তলীতে চালের পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা শিল্পের কাঁচামাল ও সব ধরনের পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করা হয়ে থাকে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিবন্ধক ওজন স্কেল প্রত্যাহার করা জরুরি।  

তিনি বলেন, একসময় চাক্তাই খাতুনগঞ্জে সিংহভাগ বাণিজ্য হতো নৌপথে। এখন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচরে নৌপথে পণ্য পরিবহন হচ্ছে। তবে খালের মুখে স্লুইসগেটের কারণে বড় নৌযান ভেতরে ঢুকতে পারছে না। ছোট নৌকায় পণ্য নিয়ে সেগুলো বড় নৌকায় তুলতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বাড়ছে। নানা কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে নৌপথে পণ্য পরিবহন হচ্ছে মাত্র ১০ শতাংশ।  

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে বলেন, কর্ণফুলী নদীতে পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে। ফলে বৃষ্টি ছাড়াই নিচু এলাকার দোকান ও গুদামে জোয়ারের পানি ঢুকছে। এতে ব্যবসায়ীরা বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। চার বছরেও সিডিএ স্লুইসগেটের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা দ্রুত কাজটি শেষ করার জোর   দাবি জানাচ্ছি। 

 উক্ত  সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024