ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও সম্প্রতি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা, আগামী ৭ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।


৩০ জুন, রবিবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।


আদালতে শুনানিতে ছিলেন রিটকারি আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব পোদ্দার।


বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, একটি অংশ উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি। আর আরেকটি অংশ মালয়েশিয়া থেকে নিয়োগকর্তার চূড়ান্ত সম্মতি পায়নি। বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রহণ করার নিশ্চয়তা পাঠায়নি নিয়োগকর্তা। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন দুই আইনজীবী।


পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি উপস্থাপনের পর আদালত এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানাতে বলেছেন।


উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গত ৩১ মে পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেয় প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪২ জনকে। অজ্ঞাত কারণে বাদ দেয়া হয় ৩২ হাজার কর্মীকে।


কথা ছিল, জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা করে দেবেন কর্মীরা। এ খরচের ভেতর আছে: পাসপোর্ট খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমাকরণ, স্মার্ট কার্ড ফি ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ। আর ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার উড়োজাহাজ ভাড়াসহ ১৫টি খাতের খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।


এ অবস্থায় তালিকাভুক্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪২ জনের কাছ থেকে সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার আমিন নুর ও দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো হাতিয়ে নেয় নির্ধারিত ফি বাদে গড়ে পৌনে ৫ লাখ টাকা করে, যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024