|
Date: 2024-07-06 15:43:27 |
বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে পানিতে ডুবেছে চরের নিম্নাঞ্চলের বসত বাড়ি সহ ৬৬৫০ হেক্টর কৃষি জমি।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চরাঞ্চলে বেশ কিছু সড়ক ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে যমুনার পানি। নদী তীর ও বাধের মাঝে বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ীবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো মানুষ। এদিকে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই বগুড়ায় যমুনার পানি বাড়তে শুরু করে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে গত বুধবার রাতেই বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দি পৌরসভা সহ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের নিচু গ্রামগুলোর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ১৭২৫০টি পরিবারের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ৬৬৫০ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে ডুবে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৮১৪০ টি কৃষক পরিবার। ৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনার পানি শনিবার দুপুরে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে এসব উপজেলার চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জায়গা ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তবে দুই এক দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পানি বৃদ্ধি পেলেও যমুনা তীরের ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনো কোনো ঝুঁকি দেখা দেয়নি। যমুনার ৬টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এরমধ্যে ইছামারা অংশে ভাঙন প্রবল। সেখানে নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকা রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
© Deshchitro 2024