মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা: 

র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সম্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুন, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।


মৃত কাশেম আলী কাগুজী, সাং- খোলপেটুয়া, থানা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা । ভিকটিম শ্যামনগর থানাধীন খোলপেটুয়া গ্রামস্থ জনৈক হাবিবুল্লাহ বাহার (৪৫) পিতা-মৃত আব্দুল হাকিম খান, সাং-খোলপেটুয়া, (গাবুরা ইউপি এর ১নং ইউপি সদস্য) গংদের নিকট থেকে ২৫ বিঘা জমি লিজ ডিড করে নিয়ে গত ইং ২০১৫ সাল থেকে মৎস্য চাষ করে আসছে। উক্ত ঘের নিয়ে আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ মনোমালিন্য এবং মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। প্রতি দিনের ন্যায় গত ইং ০৪-০৭-২০২৪ তারিখে রাত্র অনুঃ ৮.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম এর স্ত্রী ও ভিকটিম ঘের পাহারা এবং মাছ ধরার জন্য যায়। ইং ০৫-০৭-২০২৪ তারিখ রাত্র অনুঃ ০০.১০ এজাহার নামীয় আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো রামদা, কুড়াল, বল্লভ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ শ্যামনগর থানাধীন খোলপেটুয়া গ্রামস্থ ভিকটিমের উক্ত মৎস্য ঘেরের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করে  আসামী আসামী সালাহ উদ্দিন গাজী (২৫), আবু মুসা (৩৫) সহ অন্যান্য আসামীরা রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিম এর মাথায় কোপ দিলে ভিকটিম উক্ত কোপ তার ডান হাত দ্বারা ঠেকালে তার ডান হাতের কুনই এর বিপরীত পাশে লেগে হাড়কেটে যায়, ভিকটিম এর স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তার হাতমুখ বেধে রাখে,  আসামী লোকমান গাজী এর হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম এর মাথায় কোপ দিলে গুরুতর রক্তাক্ত যখম প্রাপ্ত হয় এবং এজানামীয় ০৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনসহ সকলের হতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ভিকটিম এর মৃত্যু নিশ্চিত করে পানিতে ফেলে দিয়ে আসামীগণ পালিয়ে যায়। ভিকটিম এর স্ত্রী অনেক কষ্টে তার হাতের বাধন ছাড়িয়ে ডাকচিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে ভিকটিম এর মরদেহ উদ্ধার করে। ভিকটিম এর স্ত্রী শ্যামনগর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয় ও নিজে বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় এসে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী সালাহ উদ্দিন গাজী (২৫), পিতা- মৃত রুহুল আমিন গাজী, সাং- খোলপেটুয়া, থানা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা তার অপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে আত্মগোপন করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র‍্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু  করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। 


এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ র‌্যাব- ৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার পলাতক আসামী সালাহ উদ্দিন গাজী সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানাধীন সেকেন্দার মোড় এলাকায় অবস্থান করতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামী সালাহ উদ্দিন গাজী (২৫), পিতা- মৃত রুহুল আমিন গাজী, সাং- খোলপেটুয়া, থানা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা’কে গ্রেফতার করে। 


পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024