◾ নিউজ ডেস্ক 


যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে পাইকারিতে গ্যাসের দাম কমলেও বাজারে প্রভাব নেই। গ্রীষ্মে গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখি হলেও এখন পাইকারি বাজার কিছুটা নিম্নমুখী। তবে পাইকারিতে দাম কমলেও সাধারণ মানুষের এই সুবিধা পেতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাসের উচ্চ বিল পরিশোধ করতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়তে থাকে। লাগামহীন জ্বালানি বিলের কারণে পরিবার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে থাকে। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য ভর্তুকি দেয় দেশগুলো। উচ্চ জ্বালানি বিলের ধকল থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে বছরে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পরিশোধ করার জন্য বলা হয়। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার করে তবে তাকে বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হবে। 


অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো জ্যাক শার্পলস বলেন, শীতকাল শুরু হওয়ার ঠিক আগে আমাদের গ্যাসের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। তবে আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে গ্যাসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 



জ্বালানি বাজারের বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কর্নওয়াল ইনসাইট মনে করছে, আগামী বছর সরকারি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই পরিবারগুলোকে ৩ হাজার ৭০০ পাউন্ড গ্যাস বিল পরিশোধ করতে হবে। এমনকি আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত গ্যাস বিল ৩ হাজার পাউন্ডের বেশি থাকবে। ফলে বর্তমানে পাইকারিতে দাম কম হলেও ভোক্তাদের বেশি অর্থই প্রদান করতে হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024