কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করছেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ১২৪ জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন তারা। 


তিনি বলেন, আমরা সব যাচাই–বাছাই করছি। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এর বেশি কিছু না।মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘাতে যেতে চাই না, সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। যেকোনো বিষয় যৌক্তিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।


গতকাল হামলা সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়িত এবং তারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে এরকম ছবি ও তাদের নামসহ গণমাধ্যমে এসেছে— এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি এ ধরনের কার্যক্রম দেখতে পাই তাহলে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে একপাক্ষিকভাবে বলার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাত জন নেতাকর্মী গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।


এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক-মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এসব নেতাকর্মী।


উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’


প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024