কারফিউয়ের সময় রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টার পরিবর্তে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর দুই ঘণ্টা শিথিল থাকার পর বিকেল ৫টা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। শনিবার (২০ জুলাই) রাতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।


চলমান কোটা আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করতে নামানো হয় সেনাবাহিনী। ২ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউয়ের ঘোষণা দেয়া হয়।


শনিবার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। তিন ঘণ্টার বেশি সময়ের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। এরপর ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। তারপর আবারও কারফিউ বলবৎ থাকবে। জনগণকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমরাও দুঃখ পাচ্ছি। এই দুর্ভোগ থেকে শিগগিরই মুক্ত হব বলে আশা করছি


শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পালনে সরকার সচেষ্ট থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী কাউকে তুলে নেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
 
মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা আটটি দাবি জানিয়েছে। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার দাবিসহ আরও বেশ কিছু দাবি দিয়েছেন তারা। এমন দাবি তারা করতেই পারেন! এর মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক, সেগুলো অবশ্যই দেখব।
 
শনিবার শিক্ষার্থীদের কোনো কর্মসূচি না থাকলেও বিভিন্ন স্থানে জ্বালাওপোড়াও হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন।
 
তিনি আরও বলেন, ‘যারা জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারি। সেজন্য আমরা এই সান্ধ্য আইন জারি করেছি।’
 
চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন সদস্য আহত বা নিহত হয়েছেন তার সঠিক তথ্য নেই বলে জানান মন্ত্রী। উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুনের ঘটনায় দেশের সম্পদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024