|
Date: 2022-11-06 16:01:27 |
এবার সম্ভবত আমার শেষ নির্বাচন
---------------মেয়র মুহিবুর রহমান
টাকা দিয়ে যে সব কাউন্সিলার এবার নির্বাচিত অইছো এই পাঁচ বৎসর বইয়া বইয়া কাটাইবায়। চুপ থাকবায়, চোর চোরই, দালাল দালালই! সারা জীবন ও এখনোও বলেছি এবং আমৃত্যুই বলবো।
জানিয়া শুনিয়া কোনো চোরকে যদি ভোট দেও তাহলে তুমিও পাপিষ্ঠ হইবায়। এবারে পৌরসভার কার্যক্রমকে কোনো শক্তি ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করতে পারত নায়। জানাইয়া গ্রামের উন্নয়ন করতে হলে আমার কোনো কাউন্সিলারের দরকার নেই। জানাইয়া গ্রামের কাজ আমি নিজেই করবো।
কথা গুলো বলেছেন, বিশ্বনাথ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান গতকাল ৫ নভেম্বর শনিবার পৌরসভার জানাইয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে মরহুম হাজি তোতা মিয়ার বাড়ীতে তাকে এক সংবর্ধনা প্রদান কালে উপরোক্ত কথা গুলো তিনি ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি মুরব্বী শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং এস এন বি ফেইসবুক চ্যানালের পরিচালক একেএম তুহেমের সঞ্চালনায়, এতে বক্তব্য রাখেন, জানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নিশি কান্ত পাল, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক,
মুরব্বী আনোয়ার হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের কমিশনার পদপ্রার্থী নূরুল হক, আব্দুল মান্নান,
সভায় শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন, বিশ্বনাথ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সালেহ আহমদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ফখরুল ইসলাম।
মেয়র মুহিবুর রহমান সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বলেন, সব দলের মানুষে আমারে ভোট দিয়েছে, আমি আমার প্রতিদান পাইলেছি এর চেয়ে বেশী কিতা পাইতায়।
তিনি বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বিশ বৎসরের উন্নয়ন আমরা পাঁচ বৎসরে করবো। এবার আমি বিনা পয়সায় নির্বাচিত হয়েছি, আমার সর্ব মোট নির্বাচনী ব্যয় হবে তিন লক্ষ টাকার মত। অন্যদিকে কোনো কোনো কাউন্সিলার ত্রিশ, চল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বলে জেনেছি।
মুহিবুর রহমান বলেন, এবার সম্ভবত আমার শেষ নির্বাচন। আল্লাহতালা যদি নিয়ে নেন তাহলেত কিছু করার নায়, আর যদি থাকি তাহলে চোর, বাটপার ও দালালদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই যাব।
তিনি বলেন, গরীবের সেবা করলে এটাই দোয়া, দালাল আর বাটপারের সেবা করলে দোয়া মিলবোনি? বিশ্বনাথে কে কিলা আছইন তা আমার জানা আছে।
আমি জানি কারে কেমনে দিয়ে টান দেওয়া লাগবে।
মেয়র মুহিবুর রহমান আরো বলেন,
আমি মনে প্রাণে আওয়ামী লীগ করি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবো। আমি কোনো চাটুকারি আওয়ামী লীগ করিনা।
আওয়ামী লীগ যদি ভালো কোনো প্রার্থী দেয় তাহলে তাকে ভোট দিবো আর যদি অসৎ কাউকে প্রার্থী দেয় তাহলে অন্য কাউকে দিতে পারি।
আওয়ামী লীগ কোনো সময় আমারে স্বীকার করে! কোনো সময় স্বীকারই করেনা! আকদ্দুছ করে একজন আছইন তানরে তারা কইছে যদি নমিনেশন প্রত্যাহার না করো তাহলে বহিস্কার করে দিমু। এবার তারা আমার বেলায় বলেছে বহিস্কার নায় তাইন আমরার আওতায় নায়!
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা আমার মিটিংকে আইলে তার উলে পদ যাইবগি! কিতাবা তাইন করইন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যানোর মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সত্তার, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আব্দুস শহিদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমুজ আলী, আবুল হোসেন, মুরব্বী কালীন নন্দন চৌধুরী, রজিব উল্লাহ, তাজ উদ্দিন, অরুন দেবনাথ, সিরাজ মিয়া, রহমত আলী,শফিক আলী, গৌছ আলী, আবুল মতালিব, মখলিছ মিয়া, মনোহর আলী, ফখরুল আহমদ, , সাঈদ আহমদ, খলিল আহমদ, ইউনুছ আলী, শাহজাহান সিরাজ ও নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
© Deshchitro 2024