|
Date: 2024-08-07 08:41:50 |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর একজন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-এর প্রার্থী হিসাবে সাতক্ষীরা-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ২০০২ সালের সাতক্ষীরায় সাবেক সরকার শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করার অভিযোগ আনা
৫ আগষ্ট ২৪ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির বার বার কারাবরণকারী নেতা বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাকে জেলে বন্ধী করে রাখা হয়েছে।বর্তমানে ঢাকার কারাগারে এখনও বন্ধী আছে। হয়।।বিনপির এই তুগোড় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব কে দেখার অপেক্ষায় তালা-কলারোয়াবাসী।
মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় ১৯৬৫ সালে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখে আসছিলেন। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে উনার বিশেষ খ্যাতি ছিল। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ বিভাগ পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হোন। দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার নেশা তাকে রাজনীতিতে টেনে আনে। শুরু হয় সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন।
১৯৯৩ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মনোনীত হোন এবং ১৯৯৪ সালে রিজভী-ইলিয়াস কমিটির ১নং সহসভাপতির দায়িত্বে আসীন হন।
ছাত্ররাজনীতিকে সংক্ষিপ্ত করে মন দেন স্থানীয় রাজনীতিতে। দেশের সর্ব দক্ষিন পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরা কে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন নিয়ে তিনি এলাকার স্থানীয় রাজনীতি শুরু করে। সুজলা সুফলা জনপদে তখনো জাতীয়তাবাদী দল ততটা শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। তিনি দলকে সাংগঠনিক ভাবে মজবুত করেন। নিজ আসন সাতক্ষিরা ১ কে প্রতিনিধত্ব করার জন্য তরুন বয়সে ১৯৯৬ সালে সংক্ষিপ্ত মেয়াদে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তী নির্বাচনে সাংসদ হতে না পারলেও চলতে থাকে তার দলীয় কার্যক্রম। ২০০০ সালে এস এস সি পরীক্ষার সময় পদদলিত হয়ে কয়েক জন এস এস সি পরীক্ষার্থী মৃত্যুবরন করেন। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কলারোয়া উপজেলায় গিয়ে জনাব হাবিবের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেন।। ২০০১ সালে পহেলা অক্টোবর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এলাকার নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ইত্যাদিকে প্রাধান্য দেন এবং সর্বস্তরে সুনাম অর্জন করেন।। ২০০৩ সালে তিনি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। দল কে সুসংগঠিত করা ছিল জনাব হাবিবের মূল উদ্দেশ্য। ২০০৯ সালে দলের কঠিন সময়ে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হন। নানা চড়ায় উতরাই পার করে পুলিশি ও বিরোধীদের হামলা মামলার শিকার হয়েও তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে এত টুকুন পিছপা হন নি। বার বার তিনি ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য বস্তু হয়েছেন । পিতামাতার দোয়া ও জনগনের ভালোবাসায় দীর্ঘ তিন দশক তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং আমৃত্যু থাকবেন। তালা কলারোয় বিএনপির নেতারা মনে করেন খুবই অল্প সময়ের মধ্য আমাদের নেতা ফিরে আসবেন।
© Deshchitro 2024