|
Date: 2024-08-16 05:11:14 |
আল্লাহ তাআলা যেসব মাখলুকের দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল করেন, তাদের দোয়ায় সামিল হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এটি এমন একটি পাওয়া, যা সবার ভাগ্যে জোটে না। তেমনই এক পবিত্র ও নিষ্পাপ মাখলুক হচ্ছেন ফেরেশতা। যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে থাকেন।
হাদিস শরিফে এমন দুটি আমলের উল্লেখ পাওয়া যায় যে কারণে ওসব আমলকারীর জন্য একসঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করেন। আমল দুটি হলো—
১. অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে যাওয়া
‘কোনো মুসলিম যদি অন্য কোনো (অসুস্থ) মুসলিমকে সকাল বেলা দেখতে যায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর যদি সন্ধ্যায় যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত ৭০হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর জান্নাতে তার জন্য আহরিত ফল নির্ধারিত হবে’। (জামে তিরমিজি: ৯৬৭, হাদিসটি হাসান)
২. সুরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াত তেলাওয়াত
‘যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ‘আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিম, মিনাশশাইত্বনির রাজিম’ পড়ার পর সুরা হাশরের শেষের তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিয়োজিত করে দেবেন। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকবে। সে ওই দিন মৃত্যুবরণ করলে শহিদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করবে। এমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এরূপ পাঠ করবে, সেও একই ফজিলতের অধিকারী হবে’। (জামে তিরমিজি: ২৯২২; মুসনাদে আহমদ: ২০৩০৬; আত তারগিব: ১/৩০৪)
তবে, এ সংক্রান্ত হাদিসটি জয়িফ। দুর্বল হাদিসের ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি অনুসারে, এখানে যে ফজিলত বলা হয়েছে তার ওপর শতভাগ একিন ছাড়া আমলটি করার অবকাশ আছে। কারণ, এটি কোরআনে কারিমেরই তিনটি আয়াত। অন্তত প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি নেকি তো অবশ্যই মিলবে। তাই চাইলে এ আমলটিও করা যায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উপরোক্ত আমলগুলো সবসময় করার তাওফিক দিন। আমিন।
© Deshchitro 2024