কক্সবাজারের  দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলায় মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বৈরি আবহাওয়া ও পুর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগরের লোনাপানির আগ্রাসনে ফলে না ফসল।ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে সাগরে। দ্বীপের চারপাশে এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৪০ কিলোমিটার মাটির বেড়িবাঁধ আছে।বেড়িবাঁধের ভাঙনে বিপর্যস্ত  জনপদ সাম্প্রতিক জোয়ারেও চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাগরের পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে লোকালয়। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে আরও ১৫টি পয়েন্ট। টেকসই বেড়িবাঁধ যেনো স্বপ্নই রয়ে গেলো কুতুবদিয়ার প্রায় দু লাখ মানুষের কাছে।

উত্তর ধূরু, দক্ষিণ ধূরুং, কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের প্রায় চার কিলোমিটার অংশের ১৫টি পয়েন্ট ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।সামান্য জোয়ারের পানিতে বিলীন হতে বসা এমন বেড়িবাঁধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। গত অর্থবছরে বেড়িবাঁধের পেছনে যে অর্থ খরচ করা হয়,এর সবটাই ব্যর্থ বলে আক্ষেপ করছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার না করলে আরও কয়েক কিলোমিটার অংশ সাগরে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বলছেন, সরকারের বরাদ্দ দেয়া অর্থের ৫০ শতাংশও যদি কাজে দিতো, তাহলে এই অঞ্চলের মানুষ রক্ষা পেতো। টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে দূর্ভোগের শেষ নেই কুতুবদিয়ার মানুষের। ভাঙন ঠেকাতে বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের,আশ্বাসের পর বেড়িবাঁধ টেকসইভাবে হয় না হয় সংস্কার।গত চার যুগে কুতুবদিয়া দ্বীপের একটা বড় অংশ বঙ্গোপসাগরে ভেঙে চলে গেছে। একের পর এক বড় বড় ঝড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে।স্থানীয়রা ধীরে ধীরে হারাচ্ছে পিতৃপুরুষের ভিটা, লবণখেত, ফসলের মাঠ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024