বৈষম্যবিরোধী ছাত্র -জনতার গণ-আন্দোলনের তোড়ে পড়ে সম্প্রতি স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দীর্ঘ প্রায় ১ যুগ পর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন  বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি কুতুবদিয়া উপজেলার নেতা-কর্মীরা।  

এসময় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিগত কয়েক বছর ঘটে যাওয়া জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়নের বিষয়ে আলোচনা ও দেশ বরণ্যে আলেম এবং নির্মম হত্যার শিকার জামায়াত’র কেন্দ্রীয় নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। এসময় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দেশে চলমান হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ এবং সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে নেতৃবৃন্দের আহ্বান জানিয়ে উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল আমিন উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ বিধায় ক্ষমা করতে শিখুন। জামায়াত ইসলামির কর্মীরা কখনও হিংস্র প্রাণীর মতো প্রতিশোধ নেয় না। আগামীতে সুন্দর পথ চলার জন্য নিজেকে ইসলামি আন্দোলনের কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের আল্লাহর কাছে সোপর্দ করতে হবে। ইসলামিক আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রতিটা গ্রাম ও সমাজে পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

এদিকে ২০১৩ সালের (১-লা মার্চ) উপজেলায় আল্লামা দেলাওয়ার হোছাইন সাঈদীর মুক্তির আন্দোলনের আক্রোশে  আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জামায়াত-শিবিরের ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ চালায় বলে  জানান।




প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024