|
Date: 2024-08-19 04:59:16 |
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপে ভাদ্রের শুরুতেও বর্ষাকালের আবহ তৈরি হয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে। সারারাতের মুষলধারে বৃষ্টির ধারা বজায়ে রয়েছে সকালেও। ফলে সকাল থেকে তীব্র যানজটে নাকাল অবস্থা রাজধানীবাসীর। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষেরা বিপত্তিতে পড়েছেন। নগরীর একাধিক স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যানযট আরও তীব্র হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের এসব চিত্র দেখা যায়।
মগবাজার থেকে মহাখালী হয়ে আব্দুল্লাহপুর সড়কে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে। মগবাজার মোড় থেকে সিগনালে আটকে থাকা গাড়ির সারি মগবাজার ওয়ারলেসের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এদিকে তেজগাঁও এলাকার তিব্বত ও নাবিস্কো পয়েন্টে দীর্ঘ সময় গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চিত্রও অনেকটা একই। তাওহীদ খান নামে এক যাত্রী যানজটে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, সকালের প্রথম বাসে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম। আর এক কিলোমিটার পরেই বাইপাইল। তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় বসা। বাইপাইল এখনও ৭০০ মিটার দূরে। এই রুটে আসার আগে ম্যাপ দেখে আসুন।
একই অবস্থা বানানী ও রেডিসন থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে। ট্রাফিক গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বলছেন, উত্তরা বা বিমানবন্দরগামী সম্মানিত যাত্রীদের হাতে সময় নিয়ে বের হতে হবে।
বলাকার সামনে একটি লং ভেহিক্যাল (কাভার্ড ভ্যান) বিকল হওয়ায় এ মুহূর্তে রেডিসন থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে যানবাহনের প্রচন্ড চাপ দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব ৩০০ ফিট সড়ক ও কুড়িলের দিকেও পড়েছে। তবে আশার কথা কিছুক্ষণ আগে এটি রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও একটু সময় লাগতে পারে।
এদিকে সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক আপডেট বিষয়ক দেশের সবচেয়ে বড় ফেসবুক গ্রুপ 'ট্রাফিক এলার্টে' একাধিক ব্যাক্তি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আশিকুল ইসলাম নামে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীরা ঢাকার রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার পর আজ থেকে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এক ডিজাস্টারে পরিণত হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশরা একেক জন কলাগাছের মতো চুপচাপ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। স্টুডেন্টদেরকে পার্ট টাইম জব হিসেবে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
সবুজ চৌধুরী লেখেন, ট্রাফিক পুলিশরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসে গল্প করে। আজকে মহাখালি থেকে উত্তরা সব জায়গায় একই অবস্থা দেখলাম।
তানজীন আহমেদ লেখেন, ছাত্রদের দিয়ে আবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আনা সমাধান না। সমস্যা হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ তার ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় কাজ করছে না। ট্রাফিক পুলিশ যদি তার কাজ না করে তাহলে কাজে এসেছে কেন? পদত্যাগ করতো। ঘুষ নাই বলে কাজ করবে না কিন্তু মাস শেষে বেতন ঠিকই নিবে। আর সাধারণ মানুষ যারা ছাত্রদের ভয়ে বিগত কয়েক দিন ট্রাফিক আইন মেনে চলেছেন তারা এখনও ট্রাফিক আইন মেনে চললে কি হয়? আমাদের ভয় দেখিয়ে আইন মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে কেন?
© Deshchitro 2024