|
Date: 2024-08-19 09:49:37 |
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধরক মারপিট বসতভিটা ভাংচুর ও দখল সহ গাছপালা উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ৮টায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া খামাত পাড়া গ্রামে। অভিযোগে জানাগেছে, ওই গ্রামের মৃত সদ্দি মামুদের পুত্র তহিদুল ইসলাম তার পিতার নিকট ২ দাগে ৫ শতক এবং মরহুম কাচু মামুদের নিকট হইতে ১ শতক জমিসহ মোট ৬শতক জমি ক্রয় করে সেখানে টিউবওয়েল স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগান। ঘটনার দিন সোমবার সকাল ৮ ঘটিকায় মৃত সদ্দি মামুদের ছেলে তহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের বাচান আলীর দোকানে বসে থাকা দেখে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তারেই আপন ভাই সদ্দি মামুদের ছেলে শহিদুল ইসলাম তাকে অর্তকিতভাবে আক্রোমনসহ মারডাং শুরু করেন। পিতা তহিদুল ইসলামকে মারডাং থেকে বাঁচার জন্য তার ছেলে মমিন মিয়া এগিয়ে আসলে তাকে দেশী অস্ত্র দা ছুরি,বটি লাটি-সোটা দিয়ে এলোপাতারী ভাবে মারতে থাকেন। এক পর্যায় শহিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মাথায় চোট মারেন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সহিদুলের ছেলে শরীফ উদ্দিন পিঠে ও দুই হাতে লাটি দিয়ে এলোপাতারী ভাবে কোপাতে থাকে এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলে বাড়ীতে কেউ না থাকায় তাদের ক্রয়কৃত জমির উপর আহাদুল হকের ছেলে মামুন মিয়া, সহিদুল ইসলামের স্ত্রী মনজু বেগম, মামুন মিয়ার স্ত্রী রুবিনা বেগম, সহিদুলের মেয়ে সোহাগী আক্তার টিউব অয়েল ভাংচুর করে, বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ উপড়ে ফেলে বেড়া ভেঙ্গে দিয়ে উক্ত জমি দখল করে চালা উত্তোলন করেন। সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংবাদিক কাওছার হামিদ ভাংচুরের ছবি তুলতে গেলে তাকে বাধা প্রদান করেন এবং তার হাতে থাকা স্মাট ফোনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে কিশোরগঞ্জ থানার এসআই মন্জুরুল হক মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে আসেন এবং ভিকটিম মমিন মিয়ার সাথে কথা বলে ঘটনাস্থলে যান। এসআই মনজুরুল ইসলাম বলেন ভিকটিম অভিযোগ দিলে থানায় মামলা নেওয়া হবে।
© Deshchitro 2024