কক্সবাজারের কুতুবদিয়া- মগনামা ঘাট পারাপারে অনিয়ম, নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে  উপজেলা  কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যায়নরত ছাত্র, ছাত্রী ও স্থানীয় জনতা এ আন্দোলনে অংশ নেন। পরে,বেলা ১২ টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরীর বৈঠক করেন।তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, চার ঘন্টা ব্যাপী ছাত্র নেতৃত্বদের সাথে আলোচনা করা হয়। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের, সেহেতু ছাত্র নেতৃত্বদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য বলেন।এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে সর্বাতক সহযোগিতা করবে বলে জানান।

ছাত্রদের দাবিগুলো হলো, ঘাটে একটি টিকিটের মাধ্যমে কুতুবদিয়া মগনামা পারাপারের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জেটি ভাড়ার নামে দুইদিকে অতিরিক্ত টাকা বাদ দিতে হবে। তাছাড়াও ঘাটের সকল কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক ড্যানিস ও স্পিড বোটের নাম্বারসহ চালকদের ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র থাকতে হবে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর মাধ্যমে তদারকি করতে হবে। ঘাট ইজারাদারদের ছবিসহ কতৃপক্ষের নির্ধারিত পণ্যসামগ্রীর মূল্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে ও মালামাল বহনকারী যাত্রীদের রশিদ প্রদান করতে হবে।মূল্য তালিকা সকল জেটিতে নির্দিষ্ট স্থানে জনগণের দৃষ্টিগোচর হয় মতো জায়গায় টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। গাম বোট ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা এবং স্পীড বোট ভাড়া ৭০ টাকা করতে হবে ও প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বোট অবশ্যই ছাড়তে হবে। জ্বালানি দ্রব্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করতে হবে। গাম বোটে ৪০জন ও স্পিডবোটে ধারণ ক্ষমতার বেশী যাত্রী নেওয়া যাবে না। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক বোট চালু রাখতে হবে। প্রতিটি বোটে সবার জন্য লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী রাখতে হবে। ফিটনেসবিহীন বোট নৌপথ থেকে তুলে ফেলতে হবে এবং ঘাটের যাত্রী ছাউনি ও গণশৌচাগার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মালামাল রাখার নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও মালামাল রাখা যাবে না। রাতের বেলা ঘাটে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবসায়ী, প্রবাসী এবং বরযাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়ার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ঘাটের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকদের আচরণ মার্জিত করতে হবে। আগামী বছর থেকে ইজারা প্রথা বন্ধের সকল ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে (প্রশাসনকে) গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। ছাত্রদের নেতৃত্বে ছিলেন ইমতিয়াজ উদ্দিন জিল্লু, নেছার উদ্দিন, রায়হান সোবাহান , আসিফ আদনান, কাজী তাহমিদ, পারভেজ, মো. নওশাদ, হারুন, নুরুজ্জামান হেলালি, মুরাদ, জাহেদুল ইসলাম, ইফতেখার ইসলাম তাকি, হামিদসহ প্রমুখ।

এর আগেও,এই নৌ রুটের নৈরাজ্য বন্ধ করতে ছাত্র আন্দোলনের একটি টিম কয়েক দফা বৈঠকে বসে উপজেলা  প্রশাসনের সাথে। কিন্তু  যৌক্তিক দাবি আদায়ে কোন সাড়া পাননি। এদিকে ছাত্রদের দাবি আদায় না হলে আগামী রবিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের ডাক দেন।

 




haque
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024