মেয়র আইভির ব্যাক্তিগত সহকারী যার নাম আবুল হোসেন। যিনি একজন পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা। কিন্তু আইভির ব্যাক্তিগত সহকারী হওয়ার সুবাদে বনে গেছেন 'আবুল স্যার' পদবীতে। 

মেয়র আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন আবুল। ১৯ আগস্ট মেয়র আইভী অপসারিত হওয়ার পর কান্নায় দুই চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল আবুলের।


একজন পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হিসেবে আবুলের বেতন ৩৬ হাজার টাকা। 

বেতন ৩৬ হাজার টাকা হলেও তার চলাফেরা ছিল কোটিপতির মত। আইভির পিএ হবার সুবাদে তিনি শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, ফার্নিচারের দোকান, বন্দর উপজেলায় তার ও স্ত্রীর নামে তিনটি জমি রয়েছে। বিলাস ভ্রমণে রয়েছে আবুলের উচ্চ বিলাসী জীবন।  তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রোলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, ভ্রমণ করেন।  একাধিকবার ভারত ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের ছবি তার ফেসবুকে পাওয়া গিয়েছে। অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তার করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। আবুল হোসেন তার দায়িত্ব বহাল রাখার জন্য গত বছর নিয়োগ পাওয়া নাসিকের মেয়রের সহকারী পদে আসা আরিফ নামে এক কর্মকর্তাকে একটি স্কুলে পাঠান। ভুক্তভোগী আরিফ জানান, আমি গত ৮-৯ মাস ধরে স্কুলের দায়িত্ব পালন করছি। আমি যোগদান করেছিলাম সিটি কর্পোরেশনে, কিন্তু পরে আমাকে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। একইভাবে মেয়রের গাড়ির ড্রাইভার বিল্লাল হোসেনের রয়েছে পাহাড় সমান সম্পদ। শহরের বরফকল ও পানিকল এলাকায় বহুতল ভবনে তার দুইটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কয়েক লাখ টাকা দিয়ে তিনি সাজিয়েছেন তার ফ্ল্যাটের ডিজাইন।


অন্যদিকে ১৩ বছর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম। বিশেষ সুপারিশে তিনি দায়িত্বে থাকার সুযোগে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে চাঁদা ও গাছ ক্রয়ে বিরাট নয় ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এসপি হারুন অর রশিদ ব্যবস্থা নিতে গিয়েও বিশেষ সুপারিশে স্থগিত হয়ে পড়ে।


এদিকে মেয়রের সহকারী, ড্রাইভার ও নিরাপত্তা কর্মীর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে নাসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি থাকলে লিখিত আকারে অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের নিয়ম মেনে তদন্ত করা হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024