মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দ্বারিকা পাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হককে অবিলম্বে অপসারণের দাবি তুলেছেন শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে তাঁর অপসারণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব এর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা কলেজের অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা মনসুরুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানে বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়ার অভিযোগ তুলেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন, বিগত ১৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন দ্বারিকা পাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক। তিনি সাধারণ ছাত্র জনতাকে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করেন। তিনি একজন শিক্ষক হয়েও আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারী শাসকের নিবেদিত আক্রমণাত্বক ও আগ্রাসী মনোভাবের ব্যক্তি হিসেবে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী চত্বরে ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিগত ৩ ও ৪ আগস্ট অবস্থান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার স্বৈরাচারী মনোভাব এবং কর্মকাণ্ডে নিরীহ ছাত্ররা তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধাগ্রস্ত হন। এতোদিন ধরে তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগ দলের শোষণ ও বঞ্চনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে চাপিয়ে যাচ্ছেন।

পরবর্তীতে বিগত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হওয়ার পরেও তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বপদে বহাল থেকে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে মদদ দিয়ে যাচ্ছেন।

অধ্যক্ষ মনসুরুলকে দ্রুত অপসারণের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাধীনতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমাদের এই দাবি মেনে নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার নিবেদন করছি। শিক্ষার্থীরা সাধারণ ছাত্র জনতার এ দাবি মেনে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে ইউএনওকে অনুরোধ জানান।

এদিকে দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীলিপ কুমার বর্ধনের হাতেও স্মারকলিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীলিপ কুমার বর্ধন বলেন, আমি তো কলেজের কিছু না। তারা অধ্যক্ষের অপসারণের জন্য ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব বলেন, দ্বারিকা পাল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ বিষয়ে  শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবো।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024