বরিশালে ভারী বর্ষণে তিন দিনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা কখনো হালকা ধরনের আবার কখনও মুষলধারে।আর টানা বৃষ্টিতে এরই মধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। সেইসাথে নিম্নাঞ্চলে বাসা বাড়িতেও পানি ঢুকে গেছে। টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন সড়কে হাঁটুপানি জমেছে।রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষ আর শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।বিভিন্ন সড়কে চলাচলের সময় আটকা পড়ছে যানবাহন। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। তবে নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম না করায় বৃষ্টি কমার সাথে সাথে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা জানিয়েছেন প্রকৌশল বিভাগ।
তবে টানা দুই দিনের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে গতকাল শনিবার থেকে রবিবার দুপুর পযন্ত দেখা গেছে বটতলা এলাকারসহ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ফলে দিন খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকার ওপরও শুকবার থেকে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।স্থানীয়রা বলেন, মুষলধারে বৃষ্টির পানিতে নগরের বটতলা, বগুরা রোড, সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সম্ভবত ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নামছে না। তাই ভোগান্তির শেষ নেই আমাদের। তাই জলাবদ্ধতা এখন নিয়মিত একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে বরিশালবাসীর জন্য। তবে বৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পাবে এমন শঙ্কায় রয়েছেন নগরবাসী। আর আবহাওয়া অফিস বলছে আরও দুই একদিন এভাবে বৃষ্টি সম্ভাবনার কথা।বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ১৭৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে আরও দুই/একদিন বৃষ্টিপাত হবে। আর কখনও ভারী আবার কখনো হালকা আকারে বৃষ্টিপাত হতে পারে।তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে গত কয়েকদিনের থেকে দিনের তাপমাত্রা শনিবারের মতো রোববারও কিছুটা কম হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বোনিম্ন ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সেইসাথে বৃষ্টি শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও কোন নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে নদ-নদীতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রুবেল হাওলাদার জানান, গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বায়ু চাপের তারতম্য হয়েছে। এ কারণে বরিশাল বিভাগের বিভিন্নস্থানে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যা আরো ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024