|
Date: 2024-09-25 23:24:04 |
মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে যোগদান করেছেন মাফরোজা পারভীন। গতকাল সকালে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। মাফরোজা পারভীন ইতিপূর্বে ঢাকার শ্রম আদালত-১ এর চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৮ বিসিএস (বিচার) এর মাধ্যমে বিচারক হিসেবে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম,জি আযম সম্প্রতি বদলি হয়ে ঢাকার শ্রম আদালত ১ এর চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) হিসেবে যোগদান করেছেন। একই আদালতে দায়িত্বে থাকা বিচারক মাফরোজা পারভীন সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যোগদান করলেন। এছাড়া তিনি মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাতক্ষীরার আদালতগুলোতে সরকারি কৌশুলীগণ অনুপস্থিত আছেন বলে একাধিক আইনজীবী পত্রদূতকে জানান। তারা আরো জানান, সরকারি কৌশুলীগণ অনুপস্থিত থাকার কারণে বিভিন্ন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণসহ মামলা পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থা তৈরী হয়েছে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেও। ওই আদালতের স্পেশাল পিপি জহুরুল হায়দার বাবু আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে হত্যাসহ একাধিক মামলা। গতকাল বিচারক মাফরোজা পারভীন এজলাসে ওঠার পর আইনজীবীগণ পিপির অনুপস্থিতির বিষয়টি বিচারকের দৃষ্টিগোচরে আনেন। এ সময় তিনি বাদী পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবীদের মামলা পরিচালনায় আইনগত কোন বাধা নেই মর্মে উল্লেখ করেন এবং বাদীপক্ষে আইনজীবীদেরকে মামলা পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর ডিস্ট্রিক্ট হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক, সাতক্ষীরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-২০২৪ পর্যন্ত সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা ছিল ৩,৯৯৯টি। এসব মামলার মধ্যে নারী-শিশু মামলা ২,৭১১টি, শিশু মামলা ৫৬৬টি, মানব পাচার মামলা ১১২টি এবং কোর্ট পিটিশন মামলা ছিল ৬১০টি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী পত্রদূতকে জানান, সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি কৌশলী নিয়োগ প্রদান করা না হলে বিপুল সংখ্যক মামলা পরিচালনায় জটিলতার সৃষ্টি হতে হবে।
© Deshchitro 2024