পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পানখালী পানজাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ২০১৮ সালে একটি ব্রীজ নির্মান করে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, এরপর ৬ বছর কেটে গেলেও দুইপাশের রাস্তা নির্মাণ করেনি কতৃপক্ষ। যে কারনে ব্রীজ নির্মানে কোন ফায়দা হয়নি জনগণের। বর্ষাকালে ব্রীজে ওঠানামার রাস্তায় থাকতো হাটু পর্যন্ত কাদাপানি। তবে এবছরের মাত্রা রিক্ত বৃষ্টিতে পুরো উপজেলায় পানি নিষ্কাশন না করতে পেরে কৃষকরা বাধ্য হয়ে মহাসড়কট কাটতে বাধ্য হয়।


ফলে চিকনিকান্দি থেকে কলাগাছিয়া আমখোলা শাখারিয়া পটুয়াখালী যাওয়ার জন্য একপাক্ষিক রাস্তাটি ব্যবহার করতে হতো গাড়িচালকদের কিন্তু পানখালি ব্রীজে রাস্তা না থাকায় নাজেহাল অবস্হায় পড়তে হতো সকলকে। ৬ বছর ধরে ব্রীজে রাস্তা না থাকায় আক্ষেপ রয়েছিলো জনমনে।


তবে ৬ বছরের ভোগান্তি একজন প্রবাসী ঘুচিয়ে দিয়ে পুরো উপজেলার চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছেন। বলছিলাম মালয়েশিয়ান প্রবাসী মো.  মনিরুল ইসলাম মনিরের কথা যার একার প্রচেষ্টায় জনসাধারণ গাড়িচালক স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলে ভোগান্তি দূর হয়েছে। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মো. আলমগীর মৃধা, মো. নুরুল হুদা রেজভি, গাজী খায়রুল, গফুর হাওলাদার ও এলাকার কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ।

জানা যায় ব্রীজের ২ পাশে ১৫০ ফুট রাস্তায় পাইলিং করে বালু দেওয়া হয়েছে এবং বালু চাপা পড়লে সিসি ঢালাই দিয়ে সংযোগ সড়ক আরও উন্নত করা হবে। 


এছাড়াও প্রবাসী মো মনিরুল ইসলাম ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে জনসাধারণের পাশে দাঁড়াচ্ছেন


এ বিষয়ে মো. আবুল কালাম পহলান বলেন, গত ৬ বছর ধরে আমরা ২ পানখালীর লোকজন এই ব্রীজে রাস্তা না থাকায় অনেকে ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছি এখন রাস্তা হওয়ায় আমাদের চলাচলে সুবিধা হয়েছে, আমরা সবাই মনিরুল ইসলাম ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024