|
Date: 2024-09-30 16:25:24 |
বিগত সরকারের আমলে শহরের রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্স, হাবিব কমপ্লেক্স, ফারজানা টাওয়ার, নয়ামাটি এবং উকিলপাড়া এলাকার প্রায় ৫ হাজার হোসিয়ারী থেকে প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নামে ঝুট নামাতো সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তারা ৭০ টাকা কেজি দরের ঝুট জোর করে ২৫ টাকায় কিনতেন। তখন হোসিয়ারী মালিকেরা ভয়ে এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারতেন না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরনো ঝুট সিন্ডিকেট ভেঙে যায়। এরপর নতুন করে নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপির নেতারা। ব্যবসায়ীরা শুরুতে ধারণা করেছিলো এবার হয়তো তারা ঝুটের প্রকৃত দাম পাবেন। কিন্তু এখনো আগের মতোই যা-তা মূল্যে হোসিয়ারী মালিকদের ঝুট বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুট নামানো হয় টানবাজারের এস.এম মালেহ রোডের পাশে অবস্থিত রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্স, হাবিব টাওয়ার ও ফারজানা টাওয়ারের কয়েক হাজার হোসিয়ারী থেকে। বর্তমানে এখানে পুরো ঝুট সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের লোকজন।
রিভারভিউ শপিং কমপ্লেক্সের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা আগে ঝুটের দাম নিয়া চিন্তা করতাম না। এখন আমাগো এই ঝুটের দাম দিতে হইব। ব্যবসার অবস্থা ভালোনা। এটা দিয়া আমরা কারেন্ট বিলটাও দিতে পারমু যদি সঠিক দাম পাই। বাজারে যেই দাম আছে সেই দামে আমাগো কাছ থেকে ঝুট কিনতে হইব। জোসেফ আমাগো ঝুটের দাম বলে দেওয়ার কে? ছাত্ররা দেশ স্বাধীন করছে আর হেরা অহন ব্যবসা পাইত্তা বইছে।
হাবিব টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের তিন থেকে চারটি পদের ঝুট আছে। একেক পদের ঝুট একেক দামে বিক্রি হয়। জোসেফের লোকজন একটার দামও সঠিক ভাবে দেয়না। কিন্তু সে বাজারে ছড়াইয়া দিসে সে নাকি সঠিক দাম দিতাছে।
© Deshchitro 2024