টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ৪ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বন্যায় কৃষি, ফসল, মৎস্য খামার, কাঁচা ঘর-বাড়ি ও রাস্তা-ঘাট ভাঙনের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে মানুষের যাতায়াতসহ থাকা খাওয়ার মারাত্মক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বন্যার পানি কমে গেলেও ৪টি ইউনিয়নের কিছু নিম্নাঞ্চল এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলাবদ্ধতা এলাকাগুলো হলো বালিয়াগাঁও, সারিকালিনগর, বেলতৈল, হাতীবান্ধা, ঘাগড়া, কামারপাড়া, প্রধানপাড়া, সরকারপাড়া, লয়খা, হাসলিগাঁও, কান্দুলী নামাপাড়া, দক্ষিণ দাড়িয়ারপাড়, নয়াপাড়া, জগৎপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের বনকালী গ্রামে প্রায় ৫৫টি মাটির ঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের প্রাপ্ত বরাদ্দ মোতাবেক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্লাবিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে এ পর্যন্ত ১৩০০ প্যাকেট শুকনো খাদ্য ও ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ব্যক্তি মালিকানার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আরও বরাদ্দ রয়েছে, পর্যায়ক্রমে বিতরণ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তালিকা তৈরি শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024