|
Date: 2024-10-06 17:32:06 |
মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার সাবেক যুবদল নেতা নাসিম ফারুখ খান মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাকে আটক করে। রবিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে সাতক্ষীরা সদর থানা ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নাসিম ফারুখ খান মিঠু দক্ষিণ পলাশপোলের মৃত আব্দুস সোবহান খানের ছেলে ও সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।
নাসিম ফারুখ খান মিঠুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের প্রধান লে. কর্নেল আশরাফুল হকের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মিঠু খানের বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে তাকে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক শামীম রেজা জানান, নাসিম ফারুখ খান মিঠুকে জিজ্ঞাবাদে জানা যায় যে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরবর্তী সন্ধ্যার পরপরই সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক তুহিনুজ্জামান বাদি হয়ে ১৪৩/ ১৪৭/ ১৪৮/ ১৪৯/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩৩২/ ৩৫৩/ ৩০৭/ ১৮৬/ ৩৭৯/ ৩৮০/ ৪৩৬/ ৪২৭/ ৫০৬/ ৩৪/ ১০৯/ ১১৪ ধারা তৎসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/১৬(২)/২৫(ডি) ধারায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ১০০০ থেকে ১২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪২ নং মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মিঠু খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, মিঠু খান তার ছবি ব্যবহার করে ফেক আইডি খুলে এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে ছেলে সাফিন আহম্মেদকে শনিবার বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানায় পাঠিয়ে ২৫২ নং সাধারণ ডায়েরী করেন।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা গ্রামের রুহুল কুদ্দুস গাজীর ছেলে মামা ভাগ্নে এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আজাহারুল ইসলাম গত পহেলা সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আমলী প্রথম আদালতে এক মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাসিম ফারুক খান, তৎকালিন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত খান বাবলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। মামলাটি পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান তদন্ত করছেন।
© Deshchitro 2024