|
Date: 2022-11-15 15:19:38 |
সেনবাগে গৃহবধূকে হত্যা,স্বামী সাইফুল গ্রেফতার
নোয়াখালী জেলার সেনবাগে তাসলিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা মামলায় স্বামী সাইফুল ইসলামকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পর পরই গৃহবধূর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মেয়েজামাই, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার সেনবাগ পৌরসভার উত্তর শাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে ও কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর খলিফাপাড়ার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। তার এক বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তাসলিমার মা মর্জিনা বেগম বলেন, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে আমার মেয়ে তাসলিমা ও জামাই সাইফুল বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি তাসলিমাকে মেনে নেয়নি। এর কিছুদিন পর থেকে শ্বশুর মাহবুবল হক তাসলিমার ওপর কুদৃষ্টি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে অসন্তোষজনক অবস্থা বিরাজ করে। এরই জেরে গতকাল দিনগত রাতে আমার মেয়েকে তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাসলিমা আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। অপরদিকে, আমাকে মোবাইল করে জানানো হয় আমার মেয়ে খুব অসুস্থ।
তিনি আরও বলেন, মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি জামাই সাইফুল তার ছোট মেয়েকে নিয়ে মরদেহের পাশে শুয়ে আছে। এ অবস্থা দেখে সেনবাগ থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর পরই মেয়েজামাই সাইফুল, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে আমি মামলা দায়ের করেছি। পরে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের খবরে মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি পালিয়ে যান।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর পরই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি পালিয়ে গেছেন। তবে, গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
© Deshchitro 2024