|
Date: 2024-10-16 11:44:16 |
রংপুরের পীরগাছায় একটি গরু একটি ছাগল সরকারিভাবে দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৩০ বিধবার কাছ থেকে এক লক্ষ ৬০হাজার টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক এনামুল হক। তিনি কান্দি ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে তার আপন ছোট ভাই একরামুল হক। এব্যাপারে ভূক্তভোগীর পক্ষে বুধবার পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রোকেয়া খাতুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে প্রতারক এনামুল হক রোকেয়া খাতুনকে জানান একটি বাড়ী একটি খামারে সদস্য হলে সরকারিভাবে একটি গরু একটি ছাগল দেওয়া হবে। তবে এসব পেতে হলে আগে সদস্য হতে হবে। আর সদস্য হতে গেলে এককালীন সঞ্চয় জমা দিতে হবে। বিধবারা তার কথায় রাজি হয়ে ৩০জন আলাদা আলাদা পরিমাণে টাকা জমা দেন। একই সঙ্গে এনামুল ৩০ সদস্যের মধ্যে কয়েকজনকে ‘পীরগাছা উপজেলা পরিষদ এর অনুমোদিত, নিয়ামত পান্ডার দিঘী, পীরগাছা, রংপুর’ লোগো সম্বলিত একটি করে পাসবই দেন।
ভূক্তভোগী রোকেয়া খাতুন জানান, প্রায় চার মাস আগে প্রতারক এনামুল হক আমার বাড়িতে এসে একটি পাসবই দিয়ে আমার কাছ থেকে দুই হাজার ৫০০টাকা নেন। এভাবে আমাদের গ্রাম থেকে তার ভাই একরামুলের সহায়তায় কয়েকজন পুরুষ ও বিধবাদের কাছ থেকে এক লক্ষ ৬০হাজার টাকা নেন। টাকা দেওয়ার পর তার কাছ থেকে গরু-ছাগল দাবি করলে এনামুল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দেন। পরে তারা বুঝতে পারে এনামুল একজন প্রতারক। তিনি আরও কয়েকজনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে লাপাত্তা। এসময় তারা প্রতারক এনামুলের সঠিক বিচার দাবি করে জমাকৃত টাকা ফেরত চান।
অভিযুক্ত এনামুলের মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পীরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আজাদ জুয়েল এনামুল ও তার ভাইয়ের প্রতারণার সত্যতা আছে বলে জানান। ‘পীরগাছা উপজেলা পরিষদ এর অনুমোদিত, নিয়ামত পান্ডার দিঘী, পীরগাছা, রংপুর’ নামে কোন সমিতি আছে কিনা? জানতে চাইলে ইউএনও নাজমুল হক সুমন জানান, এধরণের সমিতি থাকার কোন সুযোগ নেই।
© Deshchitro 2024