গত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের মিথ্যা মামলা হামলা লুটের শিকার হয়ে জেল খেটে সারা দেশে বিএনপি যখন স্বস্তি ফিরে পেয়েছে তখন ও স্বস্তি ফিরে পাইনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা।


গত ৫ আগষ্টের আগে যারা আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলো তারা এখন ফিরেছে বিএনপি নেতাকর্মী হয়ে এবং তারা আবার ও চালাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও লুটপাট। 


অনুসন্ধানে জানাগেছে, গত ২০০৮ সালে আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ইউনিয়নে বেপরোয়া হয়ে উঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আদম শফিউল্লাহ।তারা গড়ে তোলে একটি বাহিনী। যে বাহিনীর কাজ ছিলো বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা উঠানো।কেউ দিতে না চাইলে তাকে উঠিয়ে এনে করা হত নির্যাতন। আর এ সমস্ত চাঁদার টাকায় তারা বনে গেছে কোটিপতি। এছাড়া জমি বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল,জোর পুর্বক নামমাত্র মুল্যে জমি ক্রয়, বিরোধী দলের নেতাকর্মিদের পুলিশী মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়সহ এহেন অপরাধ নেই যার সাথে শরিফুল ও আদম জড়িত ছিলোনা।


এ বাহিনীর সদস্যরা হলো,আওয়ামিলীগের সভাপতি শরিফুলের ভাই যুবলীগ নেতা আরিফুল, খায়ের সরদার,মজিবর মেম্বার,ছাত্রলীগ নেতা জিকু,কাজল মেম্বার,আমের আলী,সাজুল সরদার,রিপন হোসেন,রশিদ মেম্বার,সামাদ সরদার ও বজলে সরদার।


এ বাহিনীর সদস্যরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি নেতাকর্মীরা কে গরু বিক্রি করেছে,কে ফসল বিক্রি করেছে,কে জমি বিক্রি করেছে এ সব খবর নিয়ে আওয়ামীগ সভাপতি শরিফুল ও সম্পাদক আদম শফিউল্লাহকে জানাতো। খবর পেয়ে শরিফুল তার ভাই ক্যাডার আরিফকে দায়িত্ব দিতো তাদের কাছ থেকে চাঁদা উঠাতে না দিলে দেওয়া হতো মামলার ভয় করা হতো নির্যাতন। 


এমনি ছোট পোদেউলি গ্রামের জিয়া হত্যাকে কেন্দ্র করে একই শরিফুল ও আদম বাহীনির নির্দেশে ওই গ্রামের আনিছুর মেম্বারের নেতৃত্বেতে ৭ টা গরু। মুজিবরের ২ টা,আমিনুরের ২ টা, মুস্তার ৩ টা গরু ধরে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করে হজম করে ফেলে এই বাহিনি।


গত ৫ তারিখের পর এরা পালিয়ে গেলে ও নতুন করে বাহিনীর কেউ কেউ এলাকায় ফিরে এসে বিএনপি বেশে আবার ও চালাচ্ছে তান্ডব। 


নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান,এ ইউনিয়নে বিএনপির কয়েকজন নিজেদের নেতা হিসেবে দাবী করতে নিজেদের কর্মি -সমর্থক বাড়াতে এ সব আওয়ামী ক্যাডারদের এলাকায় ফিরিয়ে এনে নিজেদের দল ভারী করছে। আর এ সব ক্যাডাররা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর ই চালাচ্ছে নতুন করে নির্যাতন।


এ ব্যাপারে শংকরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার ফয়জুর রহমান জানান,গত ১৭ বছর শংকরপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্যাতিত।আমার নামে ও দেড় ডর্জন মামলা।আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েকবার করেছে হামলা করেছে আহত,আমার সন্তানকে ধরে কুত্তার মতো পিটিয়েছে কয়েকবার।যারা আমাদের উপর আওয়ামী ক্যাডার হয়ে হামলা মামলা চলিয়েছিলো এখন তাদের ভিতর থেকে কিছু ক্যাডার বিএনপি সেজে কয়েকজন কুচক্রী বিএনপির নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে আবার ও সেই একই কাজ শুরু করেছে। আর এই কুচক্রী মহল যাদের নেই কোন কর্মি তারা নিজেদের বিএনপি নেতা সাজাতে এ সব আওয়ামিলীগের লোক দলে ভিড়িয়ে বিএনপির নেতাকর্মিদের নির্যাতন করাচ্ছে যাতে বিএনপির মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে । এ সময় তিনি এ ব্যাপারে উপজেলা ও জেলা বিএনপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024