সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীকে ক্লিনিক ট্রমা সেন্টারে নিয়ে অপারেশন করে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালের ডাঃ হাফিজুল্লাহর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সিভিল সার্জন এর নিকট লিখতে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকার আব্দুল জলিল সড়ক দূর্ঘটনায় পা ভেঙে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। পুরুষ সার্জারী ১ নং ওয়ার্ডের অর্থো এক্সট্রা ১২নং বেডে কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ঐ রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে সদর হাসপাতাল থেকে ছাড় পত্র না করে ডাঃ হাফিজুল্লাহর নিজস্ব ক্লিনিক শহরের নারকেল তলায় অবস্থিত ট্রমা সেন্টারে অপারেশন এর নামে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাৎক্ষণিক ঐ রোগীকে পূনরায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।


এ বিষয়ে রোগীর স্ত্রী খাদিজা খাতুন বিচার দাবি ও উক্ত টাকা ফেরতসহ ডাক্তার হাফিজুল্লার বিচার চেয়ে ২৫-৯-২৪ তারিখে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন ডাক্তার হাফিজুল্লার নির্দেশে দালাল মারফত ঐ ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।


কথিত ঐ দালাল রোগীসহ রোগীর লোকজনদের আজকেই জলিলের পা অপারেশন করতে হবে আর আজ যদি না হয় তাহলে রোগীর মারাত্মকভাবে ক্ষতি হবে এবং সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ভালো হবে না। শুধু তাই নয় সদর হাসপাতালে খরচ হবে ৩০ হাজার টাকা তবে ডাক্তার হাফিজুল্লার ক্লিনিকে অপারেশন করলে ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে এবং চিকিৎসা ভালো হবে। ভুক্তভোগী খাদিজার দাবি সরকারি হাসপাতাল থেকে ডাক্তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকে নিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছেন।


এবিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, ডাঃ হাফিজুল্লার ক্লিনিক অবৈধ এবং তার নিবন্ধন নেই।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024