কুতুবদিয়ায় আলোচিত মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী নুরুল আবছার নুরুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৪) রাতে নিহত নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরের স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রোববার কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা শনিবার রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরকে আটক করি, মামলা হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং সন্ধ্যার দিকে আরও দুইজনকে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল তবলারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন একই এলাকার আমির উদ্দিনের পুত্র মোশারফ হোসাইন ও আব্বাস উদ্দিনের পুত্র সাকিব হাসান রানা। তাদের কাছে বেশ কিছু আলামত আমরা পেয়েছি ওই গুলো সিআইডির কাছে আমরা হস্তান্তর করেছি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার তার ছোট বোন রুনা আক্তার ও ভাগ্নি ওয়াসিমা নুরে জারিয়া আক্তারকে নিজ বাসভবনে 'মুনতাছির ম্যানশনে' জুমার নামাজের সময় হত্যা করা হয়। ঘটনার পরে বাদী সিরাজদৌল্লাহর স্ত্রীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান রান্নাঘরে মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভাগ্নি ওয়াসিমা নুরে জারিয়া আক্তার এবং তার পাশেই মাথার পিছনে গলা ও ঘাড়ের এক-তৃতীয়াংশ জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট বোন রুনা আক্তারের মরদেহ পড়ে রয়েছে। রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগর অন্য এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হতো বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।এদিকে, মা-মেয়ের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে জানাজা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন করে নিহত রুনা আক্তারের বড় ভাই হাফেজ সিরাজদৌল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার(২৪ অক্টোবর ২০২৪) উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আব্দুল হাদি সিকদার পাড়ায় জুমার নামাজের সময় নিজ বাসভবন 'মুনতাছির ম্যানশনে' মা-মেয়েকে হত্যা করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। নিহত রুনা আক্তার ওই এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরের স্ত্রী।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024