
লাখাইয়ে গোখাদ্য সংকট, খড়সহ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকেররা বিপাকে।
লাখাইয়ে গোমহিষাদির খাদ্য সংকটে বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারী ও গরুমহিষ হৃষ্টপুষ্ট করনে যুক্ত কৃষকেরা। গোখাদ্যের মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক সপ্তাহ পূর্বে যে গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত খড় প্রতি মন ৮ শত টাকা দামে বিক্রি হতো তা এখন ১ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা।এ বিক্রেতারা জানান আমরা দূর দূরান্ত থেকে অনেক খোজাখুজি করে বেশী দামে খড় কিনে এনে থাকি।তাই দাম বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় লাখাই গোমহিষাদির সাহায্যে চাষাবাদ নেই বললেই চলে।তাই চাষাবাদ এর জন্য গবাদিপশু গোমহিষ পালন করা না থাকলেও বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে গরু হৃষ্টপুষ্ট করনে কৃষক পর্যায়ে গো পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া উপজেলায় দিন দিন গড়ে উঠছে ছোটবড় গবাদিপশুর খামার। এতে গোখাদ্যে চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে অনুপাতে ধান কাটার মৌসুমে খড় সংগ্রহ না থাকায় বা কৃষকদের আগ্রহ না থাকায় খড়ের এ সংকট। আরোও জানা যায় খামারীরা তাদের খামারের গোমহিষাদির জন্য খড় সহ উন্নত মানের ঘাস চাষের মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি গোমহিষ হৃষ্টপুষ্ট করনে সম্পৃক্ত কৃষকেরা। তাদের আগাম গোখাদ্য সংগ্রহে প্রস্তুতি না থাকায় তা গোখাদ্য সংকট কালে বেশী দামে খড় সহ বিভিন্ন খাদ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
এদিকে গোচারণ ভূমি দিন দিন হ্রাস পাওয়ায় গোখাদ্য সংকট একটি অন্যতম কারন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিশু এর সাথে আলাপকালে জানান লাখাইয়ে গোখাদ্য সংকট এর কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তবে তা সাময়িক। কিছু দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেলে তা কেটে যাবে।আর গোখাদ্যের সংকট হওয়ার অন্যতম কারন হলো মৌসুমী গোমহিষ হৃষ্টপুষ্ট করনে সম্পৃক্ত কৃষকেরা তাদের পশুর খাদ্য পূর্ব থেকে সংগ্রহ না করার জন্য।
আমরা প্রানী সম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাজার থেকে পশুখাদ্য সংগ্রহ কমিয়ে উন্নত ও পুষ্টি মান সম্পন্ন নেপিয়ার সহ ঘাস চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। এতে একদিকে যেমন বাজার নির্ভরতা হ্রাস পাবে অন্যদিকে পুষ্টি মানে সমৃদ্ধ ঘাস চাষের মাধ্যমে খরচও কমবে।এছাড়াও ধান কাটার মৌসুমে খড় সংগ্রহের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।