|
Date: 2024-11-02 17:40:37 |
সাইবার নিরাপত্তায় ভারতকে ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডিয়া।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে কানাডা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ ও ক্ষতি করার জন্য কানাডা নতুন আরেকটি কৌশল হাতে নিয়েছে।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কানাডা কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারতকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। কানাডার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভারত সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
কানাডার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডেভিড মরিসন বলেছেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশটির খালিস্তানপন্থীদের লক্ষ্যবস্তু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারত এ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে কানাডীয় কূটনীতিককে তলব করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়স্বাল বলেছেন, কানাডার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা দাবি ফাঁস করছেন। যা ভারতের জন্য গুরুতর পরিণতি ডেকে আনবে।
রণধীর জয়স্বাল বলেছেন, কানাডা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে, তা ভারতকে অসম্মান করার একটি চেষ্টা। ভারতীয় সরকার মনে করে এ ধরনের কার্যক্রম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও খারাপ করবে। কানাডার এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে।
ভারত শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের 'সন্ত্রাসী' মনে করে। তাদের কার্যক্রমকে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্বাধীন খালিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে, যা ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে ভারতে ব্যাপক সহিংসতার জন্ম দেয়।
গত মাসে কানাডা এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভারতও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কানাডার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। এ ঘটনাগুলো ভারত-কানাডা সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতীয় সরকার এখন কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। তবে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
© Deshchitro 2024