|
Date: 2024-11-04 17:43:50 |
বিশ্বনাথে মাহমুদুল হককে যদি বহাল রাখা হয়
তাহলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো
-------- মোছন আলী
৫ আগষ্ট প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভের পর আমার হৃদয়ে বিশ্বনাথ তথা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে একটি বৈপ্লবিক চিন্তা জাগ্রত হলো। দেশ সংস্কার, বিশেষ করে বিশ্বনাথ থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়েতুলা যায় এবং বিশ্বনাথ বাসীর সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েই আমার নেতৃত্বে বিশ্বনাথের এক দল বিল্পবী চেতনার মানুষিকতা সম্পন্ন যুবকদেরকে নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইনকিলাব সংসদ।
এই ইনকিলাব সংসদ মানবতার পক্ষে এবং অন্যায়, অবিচার, যুলুম, বৈষম্য ও অরাজকতার বিপক্ষে আজীবন লড়াই করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কথা গুলো বলেছেন, ইনকিলাব সংসদ ও বিশ্বনাথ মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোছন আলী।
প্রতিবেদকের সাথে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত কথা গুলো তিনি ব্যক্ত করেন।
ইনকিলাব সংসদের সভাপতি মোছন আলী বিশ্বনাথে নিয়োগকৃত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অপসারণ বিষয়ে বিস্তারিত তুলেধরেন। আর তার এ প্রকাশকৃত সার অংশটুকু এখানে উম্মোচন করা হলো।
ইনকিলাব সংসদের সভাপতি মোছন আলী সাক্ষাৎকারে জানান, আমরা একাদিক প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজে দেখতে পেলাম সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা থেকে মাহমুদুল হক নামের এক সমালোচিত শিক্ষা অফিসারকে সেখান থেকে অপসারণ করে বিশ্বনাথ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে নিযোগ দিয়েছেন, যিনি একজন নাস্তিক।
কুরআনুল কারিম হচ্ছে মহান আল্লাহতালার বিধান এবং বিশ্ব মানব জাতির পথ নির্দেশক। কুরআনুল কারিমে আল্লাহতালা মুসলিম মহিলাদের জন্য পর্দাপড়া ফরজ করে দিয়েছেন। ওই নাস্তিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক যিনি লাখাই উপজেলায় শিক্ষা অফিসার থাকাকালিন সময়ে একজন মুসলিম ভদ্র মহিলাকে পর্দা পড়ার কারণে তাকে কটুক্তি ও তাকে নাজেহাল করেছেন! তার ওই কটুক্তি সে সময় সামাজিক যোগাযোগ ও স্হানীয় প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজে প্রকাশিত হলে হবিগঞ্জের আলেম সমাজ ও তৌহিদি জননতা তাকে হবিগঞ্জ থেকে অপসারণ ও তার যথাযত শাস্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নেমে পড়েন, যা বিগত দিনের প্রকাশিত একাদিক নিউজ থেকে জানাগেছে। অবস্হা বেগতিক দেখে সরকারের সংলিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তখন নাস্তিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হককে হবিগঞ্জের লাখাই থেকে অপসারণ করতে বাধ্য হন।
একটা সময় পরে মাহমুদুল হককে আমাদের বিশ্বনাথ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে স্হানান্তরিত করেন সরকারের সংলিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বনাথে তখন তার নিয়োগের বিষয়টি একাদিক প্রিন্ট এবং অনলাইন নিউজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তখনই আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তখনই ইনকিলাব সংসদ নাস্তিক ওই শিক্ষা অফিসারের নিয়োগের বিষয়ে বিশ্বনাথ থেকে অপসারণের এর প্রতিবাদে মাঠে নেমে পড়ে।
মোছন আলী জানান, ২৪ অক্টোবর ইনকিলাব সংসদের উদ্যোগে এর প্রতিবাদে বিশ্বনাথ বাসিয়া নদীর উপর বিকেল ২টায় এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। উক্ত মানববন্ধনের পরে ওই দিনই বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনন্দা রায়ের কাছের একটি স্বাক্ষরলিপি প্রদান এবং তাকে বিশ্বনাথ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের একটি আল্টিমেটাম প্রদান করে । ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম পরে দ্বিতীয় বারেরমত নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে ইনকিলাব সংসদ, তখন নেতৃবৃন্দকে, নির্বাহী অফিসার জানান, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন সংলিস্ট দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি যে, যদি ওই শিক্ষা অফিসারকে বিশ্বনাথে নিয়োগের আদেশটি বহাল রাখা হয় তাহলে বিশ্বনাথে কঠিন সমস্যা সৃষ্টি হবে।
ইনকিলাব সংসদের সভাপতি মোছন আলী আরোও জানান, ২৭ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখায়াত এরশেদ এর কাছে এবং ৩১ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহমুদ এর কাছে স্বাক্ষররিপি প্রদান করে।
সাক্ষাৎকারে ইনকিলাব সংসদের সভাপতি মোছন আলীর কাছে একাদিক প্রশ্ন উত্তাপিত হয়েছে। ১ম প্রশ্নটি হচ্ছে আপনারা সমালোচিত শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হকের অপসারণের বিষয়ে মাঠে নেমেছেন এ বিষয়ে কি বিশ্বনাথের রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমর্থন আছে? মোছন আলী জানান, আমরা একাদিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি অবহিত করেছি নেতৃবৃন্দ ওই বিষয়ে ঐক্যমত পৌষণ করেন এবং তাদের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তাছাড়া আমারা বিশ্বনাথের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও কিছু আলেমদের সাথে যোগাযোগ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে বিষয়টি নিয়ে আমরা গিয়েছি।
মোছন আলীর কাছে সর্বশেষ প্রশ্ন উত্তাপিত হয়েছে, যদি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমালোচিত শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হককে বিশ্বনাথ থেকে অপসারণ না করে স্বীয়পদে বহাল রাখেন, তাহলে আপনার সংসদের কর্মসূচি কি হবে?
মোছন আলী জানান, তাহলে আমরা বিশ্বনাথের সর্বস্হরের জনতাকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
এদিকে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখায়াত এরশেদ এর কাছে উক্ত বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি তারা বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মাহমুদুল হক বিশ্বনাথে যোগদান করতে পারবেন না।
এদিকে স্বাক্ষরলিপি প্রদানের অনুলিপি কপি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, ও শিক্ষা সচিব এর কার্যালয়ে প্রদান করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
© Deshchitro 2024