|
Date: 2024-11-06 07:51:12 |
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তথ্য অধিকার আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে কেল্যাবাড়ী কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। দেশের তথ্য অধিকার আইনে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য ছাড়া কারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সব তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আবেদনের নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হলেও কোন প্রকার তথ্য প্রদান করেনি ওই অধ্যক্ষ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের প্রচলিত তথ্য অধিকার আইনের তথ্য প্রাপ্তির আবেদন (ক) ফরমে মোট ৮ প্রকার তথ্য চেয়ে আবেদন করেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী শাকিল ইসলাম। অধ্যক্ষের নির্দেশে আবেদনটি গ্রহণ করেন কেল্যাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের ৫ নং কলামে বলা আছে, ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন কারণে আবেদনকারীর প্রার্থিত তথ্য সরবরাহে অপারগ অথবা ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৯) এর বিধান অনুযায়ী আংশিক তথ্য সরবরাহে অপারগ হইলে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে ফরম “খ” অনুযায়ী এতদ্বিষয়ে আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন। কিন্তু ১০ কার্যদিবস অতিবাহিত হলেও ওই অধ্যক্ষ কোন কর্ণপাত করেননি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা বেশ নড়বড়ে। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকগণ প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করেন নিজ খেয়ালখুশি মত। খাতায় কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। নিয়োগ বানিজ্য, জাল সনদে চাকরি, বিনা ছুটিতে ভ্রমণসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, এর আগেও ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন তিনি।
অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তথ্য আমি আমার অফিস সহকারীকে দিয়েছি তাঁর কাছ থেকে নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেল্যাবাড়ী কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি মৌসুমী হক বলেন, আমি অধ্যক্ষকে বলেছি তথ্য দেয়ার জন্য। আপনি ওনার সাথে কথা বলেন।
© Deshchitro 2024