|
Date: 2024-11-09 05:50:55 |
মো.আজিজুলহক আজিজ,কুতুবদিয়া: বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হাতে অপহরণের তিনদিনেও খোঁজ মেলেনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ১৯ জেলের। পরিবারে চলছে কান্না আহাজারি।অপহৃতদের ১৯ জেলেকে দ্রুত ফেরত আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহানীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ২০২৪) ভোররাতে দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের বাশখালীর ইসমাইল কোম্পানির ‘এফ বি আল্লাহর দয়া’ নামের ট্রলারে মাছ ধরার সময় জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়। দস্যুদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করতে চান মাঝি। দস্যুরা ট্রলারটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকলে ট্রলারের মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ডাকাতি করতে আসা ট্রলারে মাঝিকে তুলে দেয় জলদস্যুরা।একপর্যায়ে মাঝি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে জয়নাল নামের এক জেলে কৌশলে ওই ট্রলারে লাফ দেয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৯ জেলেসহ ট্রলারটি নিয়ে যায় জলদস্যুরা। পরে জয়নাল ট্রলারটি চালিয়ে মাঝিকে নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বাঁশখালী এলাকায় মাঝি মোকাররম হোসাইন মারা যান। তবে ১৯ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দলদস্যুরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন– উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার গিয়াস উদ্দিন ও মনছুর আলম, জমির বাপের পাড়ার শাহ আলম ও রুহল আমিন, চাটির পাড়ার নাছির উদ্দীন, শাহজাহান, সায়েদ, তৌহিদ ও আব্বাস উদ্দিন, কাইসার পাড়ার শুনাইয়া ও রেজাউল করিম, ফরিজ্যার পাড়ার মেহেদী হাসান, সাকিব, ইদ্রিস ও নয়ন, কুইলার পাড়ার সাগর, একই উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের কালু ও রুবেল এবং নোয়াখালীর অজ্ঞাত একজন।
ট্রলার মালিক মো.ইসমাইল হোছাইন জানান, জলদস্যুরা এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার মুক্তিপণ দাবি বা যোগাযোগ করেনি।উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর ২০২৪ (সোমবার) সন্ধ্যায় ট্রলারটি মাঝি-মাল্লাসহ ২১ জনকে নিয়ে সাগরে যায়। মাছ ধরার মুহূর্তে বৃহস্পতিবার(৭নভেম্বর ২০২৪) দিবাগত রাত ২টার দিকে ট্রলারে জলদস্যুরা আক্রমণ করে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা জানিয়েছেন, ১৯ জেলেকে উদ্ধারের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক হয়েছে। চেষ্টা চলছে দ্রুত উদ্ধারের জন্য।
© Deshchitro 2024