রংপুরের পীরগাছায় বিক্রিত জমি গোপনে পুনরায় লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বুলবুলি বেগমের বিরুদ্ধে। প্রথম ক্রেতা মো. আলমগীর এবিষয়ে সাংবাদিকদের একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের সাতভিটা-ছাটকান্দি গ্রামে।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন-ওই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ৪৮শতক জমি তার আপন ছেলে বাবুল মিয়া ২০০৫ সালে ক্রয় করেন। বাবুল মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২০ সালে তার ওয়ারিশ হিসেবে স্ত্রী সফুরা বেগম, মেয়ে লাভলী বেগম, ছেলে সোহেল রানা ও সাব্বির মিয়ার কাছ থেকে ৪৮শতকের মধ্যে ২৪শতক জমি আলমগীর ও সাড়ে আটশতক আলমগীরের ভাতিজা মো. বাবলু ক্রয় করেন। ক্রয়সূত্রে তারা ওই জমি এতোদিন ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু আব্দুস ছাত্তারের আপন মেয়ে বুলবুলি বেগম ও জামাতা আব্দুল মতিনের যোগসাজসে আলমগীরের ক্রয়কৃত ২৪শতক, বাবলুর সাড়ে আটশতক ও বাবুল মিয়ার সাড়ে ১৫শতকসহ মোট ৪৮শতক জমি গোপনে জোরপূর্বক জালিয়াতি করে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর আব্দুস ছাত্তারের কাছ থেকে লিখে নেন। সেইদিনেই মৃত্যু হয় আব্দুস ছাত্তারের। তার মৃত্যু নিয়েও রহস্য রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি আব্দুস ছাত্তারের মৃত্যু ১৭ ডিসেম্বর হলেও তার মেয়ে বুলবুলি ও জামাতা আব্দুল মতিন ইটাকুমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৯ ডিসেম্বর দেখিয়ে মৃত্যু সনদ উত্তোলন করেন। এখানেও তারা জালিয়াতি করেন বলে জানান তারা। 
জমি লিখে নেওয়ার কিছুদিন পর মো. আলমগীরের ক্রয়কৃত জমিতে বুলবুলি বেগম ও আব্দুল মতিন দখল করে ধান রোপন করতে যান। আলমগীর তার ক্রয়কৃত জমিতে ধান রোপন করার কারণ জানতে চাইলে আব্দুস ছাত্তারের কাছ থেকে তারা পুনরায় জমি লিখে নিয়েছেন বলে জানান। 
ভূক্তভোগী মো. আলমগীর জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে তিন তিনবার শালিসি বৈঠক বসলেও বুলবুলি বেগম ও আব্দুল মতিন শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলে যান। উল্টো তাদের নামেই জমি দখলের মিথ্যা মামলা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত আব্দুল মতিনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। এব্যাপারে জানতে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি কর্মকর্তা তিথী রাণীকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024