
হবিগঞ্জে সুজনের বাইশতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে বাইশতম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সুজনের আহবান
রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি করুন এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অনুসারে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শহরের সুরবিতান হলরুমে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ,এস,এম মহসিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালিব তালুকদার দুলাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মিজবাহুল বারী লিটন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সহসভাপতি মোঃ আব্দুর রকিব, লাখাই উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ বাহার উদ্দিন, বানিয়াচং উপজেলা কমিটির সভাপতি দেওয়ান সোয়েব রাজা, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি জুনাব আলী তালুকদার শামীম।
শুরুতে পবিত্র কোরআান থেকে তেলওয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য শেখ আব্দুল কাদির কাজল। আলোচনায় অংশ নেন লাখাই উপজেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ ওয়াহেদ, জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য মুজিব চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, আলহাজ্ব হারুন রহিম রুপজ, সাংবাদিক শাহআলম, মো ফয়সাল আহমেদ তুষার, সদর উপজেলা কমিটির সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুমন, আজিজুল ইসলাম হৃদয়, ইয়ুথ লিডার মিজান কাদেরী, আব্দুল বারিক অন্ত, খোকন মিয়া, রিপন মিয়া, পিয়ালী দেব প্রমূখ। বক্তারা বলেন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনের অবসানের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্রব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের পর একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা অর্পণ করা। জন আকাঙ্খা অনুযায়ী দেশ এখন সংস্কারের পথে যাত্রা শুরু করেছে, এর ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড.বদিউল আলম মজুমদার, কে নির্বাচন সংস্কার কমিশন এর প্রধান করা হয়েছে, যার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সুসংহত ও জন আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে বলে সুজন নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন, সেই আলোকে সুজন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১১ দফা সুপারিশ প্রনয়ণ করে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
পরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা ও মিষ্টিমুখ এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।