|
Date: 2024-11-15 03:16:31 |
◾ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও অনেক সময় বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আর এই ভিডিও কারনে অনেকে বিড়ম্বনায়ও পড়ছে। কিছু বিষয় না জানলে কোনোভাবেই ধরা যাচ্ছে না ভিডিওটা আসল না নকল। নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করা এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন। এআই প্রযুক্তি আসার প্রথম দিকে কৃত্রিমভাবে তৈরি ভিডিওতে থাকা বেশ কিছু ত্রুটি সহজেই চোখে পড়ত। কিন্তু এখন এআই দিয়ে এমন সব ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে, যা শনাক্ত করা খুবই কঠিন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির ফলে
কৃত্রিমভাবে তৈরি ভিডিওগুলো আগের চেয়ে আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে। ফলে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করা বেশ কঠিন। তবে এআই সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে এবং ভিডিও দেখার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে এ ধরনের ভিডিও শনাক্ত করা সম্ভব।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভিডিও সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে, যা ইম্পোস্টার ও টেক্সট-টু-ইমেজ ভিডিও নামে পরিচিত।
ইম্পোস্টার ভিডিও : এই ভিডিও এক ব্যক্তির চেহারা অন্য ব্যক্তির মুখের ওপর বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ‘টকিং হেড’ ফরম্যাট ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির ঠোঁটের নড়াচড়ার দৃশ্যের সঙ্গে বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করা হয়। এ ধরনের ভিডিওর মাধ্যমে সাধারণত জনপ্রিয় ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ, অভিনেতা, খেলোয়াড়দের মুখ দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। ফলে দর্শকরা বিভ্রান্ত হন। এ ধরনের ভিডিওতে মুখের চারপাশে অস্বাভাবিকতা বা ত্রুটি দেখা যায়। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি মাথা ডানে-বাঁয়ে ঘোরালে এই ত্রুটি ধরা পড়ে। দাঁতের আকার বা সংখ্যা বদলে যাওয়া বা মুখের নিচের অংশে অস্বাভাবিক নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করেও এ ধরনের ভিডিও শনাক্ত করা যায়।
© Deshchitro 2024