নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোখ যতদূর যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ সবুজ ফসলের এবং সম্ভাবনার। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল ভালো থাকায় আগাম আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন এলাকার কৃষক। ইতোমধ্যে আলুর পরিচর্যার কাজ শেষের দিকে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আগাম জাতের আলু ঘরে তুলবেন কৃষকেরা। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, আলু চাষবাদে জেলার অন্যতম এলাকা কিশোরগঞ্জ। কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চাষাবাদ করা হয় আলু। আগাম আলু চাষাবাদের জন্য বিখ্যাত কিশোরগঞ্জ। উপজেলার বাহাগিলী, নিতাই, পুটিমারী, সদর, চাদখানা, রনচন্ডি ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা আগাম আলু আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর চারা যেন সবুজের সমারোহে ভরে তুলেছে বিস্তৃত এলাকা। ফলনও ভালো হবে বলে জানান আগাম আলু চাষিরা।বাহাগিলীর কৃষক একরামুল, জয়নাল, আবু হানিফ, আব্দুল মান্নান, মোকলেছুর রহমান জানান, গত বছর আলু উত্তোলন মৌসুমে বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় আলু চাষে লাভবান হয়েছি। এ বছর আলুর দাম সেই অনুযায়ী আবারও ভালো পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী কৃষকরা। কৃষক মোফাজ্জল  রহমান জানিয়েছে আলু গাছে ওষুধ প্রয়োগ, সেচ, সার, মজুরিসহ এক বিঘা জমিতে আলু চাষে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খেতের অবস্থা দেখে তিনি খুশি, তাই বাজারে ভালো দাম পেলে তিনি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বেশি। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো.লোকমান আলম বলেন, এ বছর আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৬ হাজার ৭শত ৮০ হেক্টর জমি।যা গত বছরের চেয়ে ১৮০ হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। এবার যেহেতু আবহাওয়া অনুকূলে, রোগবালাইও নেই, তাই ফলন খুবই ভালো হবে। আর কিছু দিনের মধ্যে কৃষকেরা আলু ঘরে তুলবেন। এবং ভালো দাম পেলে কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী।



প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024