শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। সাদামাটা সবার প্রিয় এ ফুল। যেকোন ডোবা নালায় জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। কিন্তু আফসোস । প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর চোখে পড়ে না। দিনে দিনে শাপলা-শালুক যেন একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

বর্ষার পানিতে গ্রামাঞ্চলের ডোবা-নালা-খাল-বিল কানায় কানায় ভরে যায়। এই সময়ে বেড়ে ওঠে বিভিন্ন রঙ-প্রজাতির শাপলা ফুল। শাপলার হাসিতে হেসে ওঠে যেন জলাশয়গুলোও।


যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়  কামকুল বনগ্রামের খাল-বিলও এখন হাসছে সেই হাসিতে। আর এই শাপলা ফুলই হাসি ফোটাচ্ছে অনেক পরিবারে।

শাপলা ফুল হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকা নির্বাহের, পাশাপাশি শিশুরা মন আনন্দে মেতে ওঠে শাপলা তুলতে, ডিঙি  নৌকা বেয়ে বিলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মনের সুখে শাপলা তুলে আটি বেঁধে বাড়ি নিয়ে যায়।

দৈনিক দেশচিত্রের  ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে এমনই কিছু মুহূর্ত, যেখানে শাপলা ফুল তুলে 

একদল শিশু রাস্তায় ভাগাভাগি করছে।

শাপলা ফুলের মতোই হাসি কামকুল গ্রামের শিশুদের। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা শাপলার সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের জগৎ। শাপলা ফুল শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে তা নয় এর রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ। 

বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ের নিচু জমিতে এমনিতেই জন্মাতো প্রচুর শাপলা-শালুক ও ঢ্যাপ। অনেকেই এই সব তাদের খাদ্যের তালিকায় রাখতেন। শিশুরা তো বটেই, সব বয়সের মানুষ রঙ-বেরঙের শাপলার বাহারি রুপ দেখে মুগ্ধ হতেন। এ সময় শাপলা ভরা বিলের মনমাতানো সৌন্দর্যে চোখের পলক ফেলা যেনো মুশকিল। বিদ্যালয় শেষে বাড়ি ফিরে অথবা ছুটির দিনে শাপলা তোলার আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা, এ আনন্দ যেন  হারাবার নয়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024